গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলায় আরও ৪৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি হামলায় লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
শনিবার (৯ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
গাজা উপত্যকায় গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৫৫২ জনে পৌঁছেছে। নিরলস ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও অন্তত এক লাখ ২ হাজার ৭৬৫ জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গাজাজুড়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে জাতিসংঘের মতে, গাজার ওপর ইসরায়েলি যুদ্ধ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ বাসিন্দাকে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। পাশাপাশি ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এখনও হামলা অব্যাহত আছে এবং মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলার জন্য সহায়তা বিতরণ অত্যন্ত অপর্যাপ্ত রয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
বায়ান্ন/এসএ