ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৬১ জন নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন আরও ২৩১ জন। তবে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু নিউজ এজেন্সি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত গাজা উপত্যকার অন্তত ৪টি এলাকায় রকেট হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ৬১ জন নিহত এবং আরও ২৩১ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ, অনেক মৃতদেহ এবং আহত ব্যক্তি এখনও ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছে। পথ-ঘাট ধ্বংস হয়ে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় লোকবল ও সরঞ্জামের অভাব থাকার কারণে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ নিয়ে গত এক বছরে উপত্যকায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪২ হাজার ১২৬ জনে পৌঁছেছে। আহতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ হাজার ১১৭ জনে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল সীমান্তে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাসযোদ্ধারা। সেই সঙ্গে ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে আসে তারা।
এই জিম্মিদের উদ্ধার এবং হামাসকে ধ্বংস করতে সেই দিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা ও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। মসজিদ-গির্জা এমনকি শরণার্থী শিবির ও হাসপাতালও রেহাই পাচ্ছে না ইসরায়েলের বর্বর হামলা থেকে। এসব হামলায় নারী ও শিশুসহ বেসামরিক লোক মারা পড়ছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যসেবা একেবারে ভেঙে পড়েছে। খাদ্য ও পানির অভাবে দিশেহারা গাজার বাসিন্দারা।
ভয়াবহ এ হামলা থামাতে হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে সমঝোতার জন্য গত এক বছরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মধ্যস্থতাকারী ৩ দেশ কাতার, মিসর. যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কারও কথাই শুনছেন না।
হামাসকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করার আগ পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।