ঢাকা, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০

চকরিয়া মজিদিয়া মাদরাসা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী

মোহাম্মদ উল্লাহ : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২০ মে ২০২৩ ০৬:২৯:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন


কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর শহরের সরকারি হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত প্রায় অর্ধশত বছরের পুরনো মজিদিয়া মাদরাসা মার্কেটের ২২ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী নাছিরউদ্দিন গংয়ের বিরুদ্ধে। ২০ মে শনিবার বিকালে মজিদিয়া মাদারাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও  পৌরসভার প্যানেল মেয়র(২) মুজিবুল হক মুজিবের নেতৃত্বে ভুক্তভোগি ব্যবসায়ী কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ১৯৮৫ সালে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মজিদিয়া মাদরাসার নামে ৭ শতক জমি প্রদান করেন। বর্তমানে জায়গার উপর তিনতলা বিশিষ্ট পৌর মজিদিয়া মাদারাসা মার্কেট অবস্থিত। দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে ২২ টি ছোটবড় দোকান রয়েছে। মার্কেট পরিচালনা করছেন পৌর মজিদিয়া মাদরাসা কমিটি। মার্কেটের সকল অর্থ ব্যয় হয় মাদরাসার কল্যাণে। স্থানীয় নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে ৪/৫ জন প্রভাশালী চক্র শুক্রবার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে। ব্যবসায়ীরা অপারগতা প্রকাশ করলে মার্কেট বন্ধের হুমকী দেয় নাছির গং। তিনি প্রশাসনের কাছে চাঁদা দাবীকারিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মাদরাসার সুপার নুরুল আবছার বলেন- চাঁদাদাবীদার নাছিরের পিতা মৌলানা বদরুদ্দোজা হেলালীও একই মাদারাসার শিক্ষক ছিলেন। তিনি থাকাকালে মাদরাসার সহকারি শিক্ষক মৌলানা আবদুর রহমানের আবদনে প্রেক্ষিতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মাদরাসার নামে ৭শতক জমি বরাদ্দ প্রদান করেন। নাছিরই মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করছেন।
মার্কেটের ব্যবসায়ী কামালউদ্দিন অভিযোগ করেন-৪০ বছর ধরে ব্যবসা করছি কেউ চাঁদা দাবী করার সাহস করেনি। এখন নাছির উদ্দিন গং কোন কারণে দোকানের ভাড়া ও চাঁদাদাবী করছে আমরা জানিনা। এদিকে প্রকাশ্যে চাঁদাদাবী সহ মার্কেট বন্ধের হুমকী দেওয়ায় ১৮ মে বৃহস্পতিবার মাদারাসার সুপার নুরুল আবছার বাদী হয়ে চাঁদাদাবীর অভিযোগে নাছিরউদ্দিনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা ৫ জনের বিরুদ্ধে ৪৪৮/৩৮৫/ ৫০৬ ধারায় চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে অভিযুক্ত নাছির উদ্দিনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করেন।