১০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র, বাঁশখালীর সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, খেলাপি ঋণ আদায়ের দাবিতে আগ্রাবাদ শাখার এসবিএসসি ব্যাংক পিএলসি অর্থঋণ আদালতে মামলা করেন।
অর্থঋণ আদালত ২০২৪ সালের ২৭ মার্চ ডিক্রি জারি করে। ঋণ গ্রহীতাদের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার ২২৯ টাকাসহ টাকার উপর ১২ শতাংশ হারে সুদের ডিক্রি হয়। ডিক্রিকৃত সমুদয় টাকা ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধের জন্য তাদের নির্দেশ দেওয়া হলেও তা পরিশোধ না করায় গত ৮ জুলাই ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ৬৬ টাকা আদায়ের দাবিতে এই জারি মামলা করে। গৃহীত ঋণের বিপরীতে কোনো স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক বা সহায়ক জামানত হিসেবে ছিল না। তাই দায় সমন্বয়ের জন্য আইনের ৩৩ ধারার বিধান মোতাবেক নিলাম কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। ডিক্রিদার ব্যাংক হলফনামা সহকারে অর্থঋণ আইনের ৩৪ ও ৩৫ ধারা মোতাবেক ঋণ গ্রহীতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করেন। এই মামলা দায়ের হওয়ার প্রায় ২ বছর অতিক্রান্ত হলেও দায়িকগণ ডিক্রিদারের কোনো পাওনা পরিশোধ না করায় বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায়ে বাধ্য করার প্রয়াস হিসেবে ৫ মাসের দেওয়ানী আটকাদেশ প্রদান করা হয়।
এই প্রসঙ্গে সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আমি আপিল করব। দেখি কি হয়।
বায়ান্ন/এসএ