চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাইনুদ্দিন টিটুকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রবিবার ১ জানুয়ারি বিকেল বেলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্যামল দেওয়ানজি, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আলতাফ হোসেনের স্বাক্ষরিত প্যাডে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ৩১ ডিসেম্বর (শনিবার) ভোররাতে উপজেলার জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত দশ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার শেষ রাতে জোরারগঞ্জ বাজারে মুক্তিযোদ্ধা হোটেলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্র ও চররাগুলির আঘাতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহেদ বিন কামাল ও সাধারণ সম্পাদক সেফায়েত হোসেনসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। হামলাকারিরা মেলা গেটে স্থাপিত ব্যানার, পেস্টুন ছেড়াসহ আশপাশের কয়েকটি দোকানেও ভাংচুর চালায়। সংঘর্ষে আহত অন্যান্যরা হচ্ছেন, আব্দুর রহমান (১৮) সাইফুদ্দিন রিফাত (১৭) রিয়াজ উদ্দিন (৩৬) আমজাদ হোসেন (২১) রাহুল বড়ুয়া (২৪) মো. তারেক হোসেন (২৬) মিরাজ আকবর (২০) সরোয়ার হোসেন (২২) কাউসার আহমেদ (৩০)। আহতরা সবাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ, স্থানীয় লোকজন ও আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, গত ২২ ডিসেম্বর মিরসরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে দশ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু হয়। মেলার শেষদিন শনিবার রাত সাড়ে চারটায় মেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ও জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাইনুদ্দিন টিটুর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্যামল দেওয়ানজী জানান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের এবং বিজয় মেলাতে হামলার কারণে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাইনুদ্দিন টিটুকে সর্বসম্মতিক্রমে বহিষ্কার করা হয়।