বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডাঃ জুবাইদা রহমানের সাজার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দলীয় কার্যালয় থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের মডার্ন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, সেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল যৌথভাবে এই বিক্ষোভ কর্মসুচির আয়োজন করে।
বিএনপির এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় মিছিল শেষে মডার্ন মোড় এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে বিএনপি নেতা আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান পাপপু, যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিব রণক, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এসএম সমিন, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক, মনির হোসেন, আব্দুস সালাম, যুবদল নেতা আবুল বাশার বাশি, ছাত্রদলের ইমরান হোসেন, মাসুম ও শাহরিয়ার রাসেল বক্তব্য রাখেন।
বক্তরা বলেন, “দেশে সাগর রুনি হত্যার বিচার হয়না। অথচ রকেট গতিতে সাক্ষি নিয়ে তারুন্যের অহংকার তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশী সাজা দেয়া হলো। বক্তারা পুলিশকে সকর্ত করে বলেন, “হাসিনার তাবেদারী আর করবেন না। জনগনের তাবেদারী করবেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে যখন ১৫ বছরে বিএনপির মনোবল ভাঙ্গতে পারেনি, এখন বিদায় বেলায় হয়রানী মামলা নিয়ে জনতার রোষানলে পড়বেন না”। এদিকে বুধবার বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা হয়েছে। তারেক জুবাইদার সাজার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করায় এই মামলা করা হয় বলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এসএম সমিন অভিযোগ করেন।
শহরের হামদহ মোল্লাপাড়ার জনৈক টেনিয়া বাদী হয়ে ১৫ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ করেন। মামলার বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, “তারা নাশকতার জন্য জড়ো হয়েছিল। পুলিশ দেখে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে কিছু আলামত জব্দ হয়েছে। তিনি বলেন আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে”।