ঢাকা, শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

তরুণ যুবকদের নিয়ে "শ্রীমঙ্গল যুব কল্যাণ পরিষদ" সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

মোঃ জালাল উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শনিবার ৩১ অগাস্ট ২০২৪ ০৪:১৬:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তরুণ যুবকদের নিয়ে "শ্রীমঙ্গল যুব কল্যাণ পরিষদ" নামে সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করেছেন তরুণ যুবক ও ব্যবসায়ী তারেক মিয়া।

তারেক মিয়া বলেন, যুব সমাজকে গণঅভ্যুত্থানের সুফল ধরে রাখতে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, যুবসমাজ যেকোনো দেশের মূল্যবান সম্পদ। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। যুবসমাজের মেধা, সৃজনশীলতা, সাহস ও প্রতিভাকে কেন্দ্র করেই জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়। ফলে যেকোনো পরিস্থিতিতে সাহসিকতা, হিকমত ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ ইং, বিকাল ৪টার সময় শ্রীমঙ্গল কলেজ রোড শাহ মোস্তফা জামেয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি হল রুমে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে তরুণ যুবক-ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় "শ্রীমঙ্গল যুব কল্যাণ পরিষদ" ক্লাবের তারেক মিয়াকে সভাপতি-কাজী মহসিন আহমদ রাহীকে সেক্রেটারি ও দপ্তর সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম সহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

ব্যবসায়ী তারেক মিয়া বলেন, সংগঠনের নির্দেশনা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত আনুগত্যের মূর্ত প্রতীক হতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের সুফল দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি যুব সমাজকে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে।

তরুণ যুবক ও ব্যবসায়ী তারেক মিয়া'র সভাপতিত্বে ও কাজী মহসিন আহমদ রাহীর সঞ্চালনায় যুব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার জেলা যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ ফখরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন মাওলানা ইসমাইল হোসেন, মাহবুবুর রশিদ নিরাদ, কবিরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, দৈনিক জনসংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সাংবাদিক মোঃ জালাল উদ্দিন-সহ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, যুব সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সুখী, সমৃদ্ধ, ইনসাফপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। আজকের যুব সমাজই জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যুগে যুগে যুবকরাই ইতিহাস সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের প্রচেষ্টায় স্রোতের গতিধারাও পরিবর্তন হয়ে যায়।

তিনি দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশ ও জাতি এক গভীর ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ অবস্থায় দেশ ও জাতির সত্যিকার মুক্তির জন্য যুবকদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। অন্যথায় আমাদের মুক্তি মিলবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ইসমাইল হোসেন বলেন, পৃথিবীর ইতিহাস যুব সমাজের হাত ধরেই নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশের যত বড় বড় অর্জন সেগুলোও যুব সমাজের পরিশ্রমের ফসল। হাজী শরীয়তুল্লাহ, শহীদ তিতুমীরের মতো প্রাণচঞ্চল যুবকদের হাতেই এসেছে আমাদের বড় বড় অর্জন। তাই জাতির এই ক্রান্তিকালে যুব সমাজকে ঘরে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই, বরং সত্যের পতাকা উড্ডয়ন ও আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে শপথ গ্রহণ করতে হবে বলে তিনি জানান।