ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ধলঘাট-মাতারবাড়ি বন্দর রোডের জমির ক্ষতিপূরণ একরপ্রতি ৪ কোটি টাকা করে চাই

মোঃ আকিব বিন জাকের, মহেশখালী : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২৪ জানুয়ারী ২০২২ ০৯:১৪:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ধলঘাট-মাতারবাড়ি টু চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বন্দর সড়কের অধিগ্রহণের জন‍্য প্রস্তাবিত জমিগুলো একরপ্রতি কমপক্ষে ০৪ কোটি টাকা করে দিতে হবে। এমনই দাবী করছেন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা।

 

গতকাল রবিবার (২৩ ই জানুয়ারি) সকাল ১১ ঘটিকার দিকে মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ডের ঝাপুয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে

মাতারবাড়ি বন্দর রোডের জন‍্য অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিগ্রস্ত ব‍্যাক্তি/ স্টেকহোল্ডারদের সাথে মাতারবাড়ি উন্নয়ন প্রকল্পের সওজ (সড়ক ও জনপথ বিভাগ) অংশ এবং ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন সহায়তাকারী এনজিও -(সিসিডিবি) এর আর্থ সামাজিক জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা ও ভূমি অধিগ্রহণ প্রস্তাব দাখিলের জন‍্য মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সভায় উক্ত জমির মূল‍্য নির্ধারণ সহ জমির ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের বিভিন্ন চাওয়া-পাওয়া নিয়ে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মাতারবাড়ি উন্নয়ন প্রকল্পের সওজ (সড়ক ও জনপথ বিভাগ/এমপিডিপি) অংশ এবং ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন সহায়তাকারী সংস্থার (সিসিডিবি) কর্মকর্তারা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা তাদের বিভিন্ন চাওয়া পাওয়া এবং দাবী-দাওয়া তুলে ধরেন।

তারা বলেন- "অধিগ্রহণের জন‍্য চিহ্নিত করা প্রতি একর জমি থেকে আমরা লবণ, মাছ এবং চিংড়ি চাষ করে বাৎসরিক লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করি। আমাদের জমির বর্তমান মৌজা রেইটের তিনগুণ তথা একর প্রতি কমপক্ষে ০৪ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভূমি অধিগ্রহণ হুকুম দখল আইন অনুযায়ী আমরা তিন গুণ ক্ষতিপূরণ পাওনাদার। এই দাবীর যৌক্তিকতা হিসেবে জমি ক্রয় বিক্রয়ের অসংখ্য প্রমাণাদী আমাদের হাতে রয়েছে। আমরা আমাদের জমির ন‍্যায‍্য ক্ষতিপূরণ চাই। এবং এলও অফিসের দালালদের দৌরাত্ম্য ও ভোগান্তি রোধে এই ক্ষতিপূরণ আমাদের কাছে সরাসরি হস্তান্তর করতে হবে।" 

 

ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযোগ্য স্থানে সঠিকভাবে পূনর্বাসন, অবকাঠামোর যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান, প্রকল্পের চাকুরী সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবীও জানান তারা। 

তারা আরও বলেন, আমরা কখনোই সরকারের উন্নয়ন কাজের বিরোধিতা করবনা। সরকারকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে আমাদেরকে আমাদের ন‍্যায‍্য ক্ষতিপূরণ বুঝিয়ে দিতে হবে।

 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার মহেশখালীতে কয়লা বিদ‍্যুৎ প্রকল্প সহ অসংখ্য উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। নির্মাণ করছে দেশের সর্ববৃহৎ ও গভীর সমুদ্র বন্দর। যার নাম দেওয়া হয়েছে -মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর। আর এরই একটি অংশ হিসেবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের সরকার ও জনপথ বিভাগ/(সওজ/এমপিডিপি) অংশ - মহেশখালীর ধলঘাটা হতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পর্যন্ত নির্মাণ করছে ২৭.৭০ বর্গ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩০০ ফুট প্রশস্ত ০৬ লেন বিশিষ্ট বিশাল সড়ক। আর এতে প্রায় ৫৫৬ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে সড়কের জন‍্য নির্ধারণকৃত জমিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। 

 

উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সওজ এর এরিয়া ম‍্যানেজার  - মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, ক্ষতিপূরণ ও পূনর্বাসন সহায়তারী সংস্থার অফিস ম‍্যানেজার /একাউন্টেন্ট আমিনুল এহসান, পুনর্বাসন কর্মী - সাজেদুর রহমান, গোলাম মাওলা ও আদর তনজঙ্গা। 

ওয়িয়েন্টাল এন্ড কনসালটেন্ট লিমিটেড এর

ভূমি অধিগ্রহণ অংশের ইন্সপেক্টর কফিল উদ্দীন ও সুশীল মণ্ডল। 

স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন- ইউপি সদস্য ইয়াছিন আরাফাত, বাবর চৌধুরী, সাবেক ইউপি সদস্য রশিদ আহমদ, যুবনেতা মোস্তাফিজুল হক চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ইসহাক ও ওয়াহিদ মুরাদ মুক্তা।