ইউপি সচিব বেতল থেকে মাদক ঢালছেন, অত:পর ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব মিলে করছেন মাদক সেবন। এই দৃশ্যের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয় ভাইরাল। এমনকি এসেছে খোদ প্রশাসনের নজরেও আসে এই ভিডিও। অবশেষে মাদক সেবনকারীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ করেছেন উপজেলা প্রশাসন। তিন কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এমনটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলাধীন বড়িকান্দি ইউনিয়নে।
জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান (লাল মিয়া) এবং পার্শ্ববর্তী সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জগলুল আহমেদের মাদক সেবন নিয়ে গোটা এলাকাজুড়ে এখন তোলপাড়। তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান (লাল মিয়া) বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। গত ১১ জানুয়ারি তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এরপর থেকে প্রায় সময়ই এলাকাবাসী মাদকাসক্ত অবস্থায় দেখতে পায় লুৎফর রহমান লাল মিয়াকে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদেও রয়েছেন। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব জগলুল আহমেদের সাথে চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লাল মিয়ার মাদক সেবনের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, সচিব জগলুল আহমেদ বোতল থেকে মাদক ঢালছেন। এরপর চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লাল মিয়া ও সচিব জগলুল আহমেদ মিলে সেই মাদক সেবন করছেন। তাদের এই মাদক সেবনের ভিডিও উপজেলা প্রশাসনের হাতেও পৌঁছায়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বড়িকান্দি ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লাল মিয়া ও সলিমগঞ্জ ইউপির সচিব জগলুল আহমেদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
বড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লাল মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বারংবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জগলুল আহমেদ বলেন, 'আমাদের সাথের কেউই এই ভিডিওটা করেছে। এম.পি সাহেবের কাছে সেই ভিডিও পাঠিয়েছে। আমরা নোটিশের জবাব দেবো।'
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল সিদ্দিক বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, 'মাদক সেবন ঘটনায় তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তবে তারা এখনো কোনো জবাব দেননি।