মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর‘সহ বিভিন্ন হাটবাজারে প্রতিনিয়ত মিলছে চোরাই পথে আসা ভারতীয় চিনি। এতে স্থানীয় চোরাকারবারীরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠেছে। আর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ভোক্তারা। সীমান্ত এলাকা থেকে প্রতিদিন ট্রাক ও পিকআপ ভর্তি চিনি আসার কারণে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় গত মাসে শমশেরনগর বাজারে অবৈধ চিনি বোঝাই একটি ট্রাক আটক করে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি। এরপর কয়েকদিন চিনি আমদানি স্থগিত ছিল। তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের হাটবাজারে অবাধে ভারতীয় চিনির রমরমা ব্যবসা শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কুলাউড়ার ফুলতলা, চাতলাপুরসহ সীমান্তের কয়েকটি স্থান দিয়ে প্রতিদিন আনা হচ্ছে ভারতীয় চিনি। সাধারণত ভোর রাতে অবৈধ চিনি আনা হয়। শমশেরনগরের স্থানীয় এক চোরাকাবারীসহ কমলগঞ্জ ও কুলাউড়ার প্রভাবশালী মহল অবৈধ চিনি ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। সীমান্ত অতিক্রম করে তারা ভারতীয় বস্তা পরিবর্তন করে দেশীয় বস্তা দিয়ে চিনি পরিবহন করে। ফলে প্রশাসন ইচ্ছে করলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। সীমান্ত এলাকার সাধারণ লোকদের দৈনিক ভিত্তিতে মজুরি প্রদান করে এই ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে ভারতে প্রতি কেজি চিনির দাম ৪৪ রুপি। ৫০ কেজি বস্তার দাম ২ হাজার ২০০ রুপি। দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকায়। মুদি দোকানিরাও অবৈধ চিনি কিনে দেশীয় চিনির তুলনায় লাভবান হচ্ছেন। তবে ভোক্তারা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে এই চিনি কিনছেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের সহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, আসলে এই বিষয়টি পুলিশ দেখলে ভালো হয়। সেখানে মামলার বিষয়ও সম্পৃক্ত। তারপরও অভিযানে আসলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি আমাদের নলেজে রয়েছে এবং আমরা লোক লাগিয়ে রেখেছি। যেখানেই পাওয়া যাবে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।