কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আলোচিত নেত্রীসহ পাঁচজনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। অনেক জল ঘোলারপর ২১ আগষ্ট (সোমবার) বিকেলে সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাশেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।
ফুলপরীকে নির্যাতনের ঘটনায় গত ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী, হালিমা আক্তার, ইসরাত জাহান, তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান
পাঁচজনকে এক বছরের জন্য একাডেমিক সহ সকল কার্যক্রম থেকে করে ইবি সিন্ডিকেট।
মাত্র ১ বছর বহিষ্কার যথাযথ মনে না হওয়ায় ফুলপরি হাইকোর্টে আপিল করে। আপিল পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৮৭ সালের কোড অব কন্ডাক্টস অব দ্য স্টুডেন্টস (শিক্ষার্থী শৃঙ্খলাবিধি) অনুসরণ করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পাঁচ শিক্ষার্থীর শাস্তি নিশ্চিতের নির্দেশ দেন। গত ২৬ জুলাই বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে শৃঙ্খলা কমিটির সভায় নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সোমবার জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে হাইকোর্টকে জানানো হয়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা আবাসিক হলের গণরুমে আটকে রেখে ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে নির্যাতন করা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন ফুলপরি। এরপর ঘটনাটি সারাদেশে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের আিনজীবি ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী গাজী মহসিন রিট করেন কোর্টে রিট করেন।