ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বশেমুরবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সভায় হল বন্ধের নির্দেশ, হল ছাড়তে নারাজ শিক্ষার্থীরা

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৭ জুলাই ২০২৪ ০৭:৫২:০০ অপরাহ্ন | শিক্ষা

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আজ (বুধবার) থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ (বশেমুরবিপ্রবি)। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসেছে হল ত্যাগের নির্দেশ।

 

 

বুধবার (১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদের ১৭ জুলাই বিকাল ৫ টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের (১৮ জুলাই) সকাল ১০ টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা হল ছেড়ে যাবেন না।

 

 

গতকাল রাতে আবাসিক শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা হল ছাড়বেন না। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তারা যে ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তা বানচাল করতেই সরকার থেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গতকাল রাতে ইউজিসি কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের হল ত্যাগ না করার ব্যাপারে মতামত জানান। 

 

 

চলমান পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে ইউজিসি সরকারি ও বেসরকারি  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে দেয়া এক চিঠিতে শিক্ষাক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার  নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলও ছাড়তে বলা হয়েছে।

 

 

শেখ রাসেল, বিজয় দিবস এবং স্বাধীনতা দিবস হলের একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে তাঁরা জানান, কোটা আন্দোলকে বানচাল করতে সরকার এখন বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা এই ঘোষণা মানি না, আমরা হল ছাড়ছি না আমাদের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন যেমন চলবে তেমনি আমরা হলেই অবস্থান করব।

 

 

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, হল বন্ধ হবে না। কেউ বন্ধ করতে আসলে খবর আছে। সবাই কর্মবিরতিতে। একমাত্র আমরাই আছি। বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিলে, পানির লাইন কেটে দিলেও আমরা হল থেকে নামবো না।

 

 

পুলিশী অভিযান ও প্রক্টরিয়াল বডির মাধ্যমে হল ছাড়ানোর মতো বিষয় যেন না ঘটে এ প্রসঙ্গে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কে. এম. ইয়ামিনুল হক আলিফ প্রক্টর ড. মোঃ কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে প্রক্টর তাকে বলেন -

 

 

শিক্ষার্থীদের হল শিক্ষার্থীদের বিষয়। তাদের আর হলের বিষয়ে সে হল থেকে নামাতে যাবে না।বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে পুলিশি অভিযানের লক্ষ্যে পুলিশ প্রবেশ করার কোনো অনুমতি তার পক্ষ থেকে যাবে না। শুধু প্রক্টর, গার্ড বা ১০-১৫ জন শিক্ষকের পক্ষে শত শত মানুষকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব না। তাই শিক্ষার্থীদের সাবধানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান রেখে চলতে বলা হচ্ছে।