বাঁশখালীর সাধনপুর আল হামিদ মহিলা মাদরাসার পরিচালক বাঁশখালীর বিশিষ্ট আলেম হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বাঁশখালী উপজেলার নেতা মাওলানা জোনাইদ উদ্দিনকে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী এমপিদের সাথে চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দারহাটে ছাত্রদের মিছিলে হামলার গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সন্দ্বীপ উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরের এক কিলোমিটার বাদশা কলোনীতে বসবাসরত মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের পুত্র মোহাম্মদ ফরহাদ ১২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চান্দগাঁও থানাকে এজহার হিসেবে গ্রহন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। স্বৈরাচার বিরোধী একজন আলেমকে গায়েবি মামলা দেয়ার ঘটনায় এলাকাবাসী ও আলেম ওলামাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দারহাট এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলার অভিযোগে গত ১২ সেপ্টেম্বর সন্দ্বীপে মোহাম্মদ ফরহাদ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী এমপিদের সাথে বাঁশখালীর বিশিষ্ট আলেম মাওলানা জুনাইদ উদ্দিনকেও আসামি করা হয়েছে। ১১৯ জন আসামির মধ্যে মাওলানা জুনাইদকে করা হয়েছে ৯৫ নং আসামি। মামলায় মাওলানা জুনাইদের প্রতিবেশী মোহাম্মদ আবছার নামে মোহাম্মদ নুরুল আবছার নামে বাঁশখালীর আরো একজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় ১১৯ জনের বাইরে আরো ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে।
মামলার আসামি হওয়া মাওলানা জুনাইদ উদ্দিন জানান, আমার সাথে বাদির কোন পরিচয় নেই। আমি নিজে, পরিবার, আত্মীয় স্বজন কেউ আওয়ামী লীগ করেনা। আমি আওয়ামী লীগের আমলে একাধিক মামলা মোকদ্দমার শিকার হয়েছি। আওয়ামী লীগের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমি ছাত্রদের পক্ষে আন্দোলন সংগ্রামে বাঁশখালীতে সক্রিয় ছিলাম। একজন স্বৈরাচার বিরোধী ব্যক্তি হওয়ার পরও আমাকেই দেয়া হয়েছে গায়েবি মামলা।
তিনি আরো জানান, আমাকে মামলা দেয়ার পাশাপাশি ওই ময়লায় আমার সাথে উঠাবসা করার অপরাধে আমার প্রতিবেশি মৃত শফিকুর রহমানের পুত্র নুরুল আবছারকে ৯৭ নং আসামি করা হয়েছে।
আল হামিদ মাদরাসার হিসাব রক্ষক মোহাম্মদ হোসাইন জানান, মাওলানা জুনাইদের সাথে তার সৎ ভাইয়ের জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধ থেকে বাদিকে ম্যানেজ করে এই মামলা দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাঁশখালী চাম্বল দারুল উলুম মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা ফুজাইল বিন আবদুল জলিল জানান, মাওলানা জুনাইদ সাহেব একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ। ওনাকে আওয়ামী লীগের সাথে মামলায় জড়িয়ে দেয়া হস্যকর ও নিন্দনীয়।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, চান্দগাঁও থানার মামলায় জড়িত হওয়া ওই আলেম সহায়তা চাইলে তদন্ত করে নাম বাদ দিতে পুর্ণ সহযোগিতা করা হবে।