ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১
গুলশানে হুয়াওয়ের নতুন অফিস

বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নে তিন উদ্যোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:২৮:০০ অপরাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে হুয়াওয়ে। গুলশানে তাদের নতুন অফিস উদ্বোধন উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আইসিটি বিভাগ এবং অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে যৌথভাবে তিনটি উদ্যোগ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এই অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের কর্মকর্তারা জানান, এসব উদ্যোগ দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়ন ও প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতি গড়তে সহায়ক হবে।

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনটেলিজেন্ট ক্লাসরুম স্থাপন:

হুয়াওয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি যেমন আইডিয়া হাব, আধুনিক অ্যাক্সেস পয়েন্ট ও ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ প্রদান করবে। এর মাধ্যমে গবেষণায় দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হবে।

২. আইসিটি বিভাগের সঙ্গে জয়েন্ট ইনোভেশন ল্যাব স্থাপন:

এই ল্যাব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দেবে, যা বাংলাদেশের আইসিটি পেশাজীবীদের দক্ষতা উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এটি নতুন উদ্ভাবনের পথ খুলে দেবে এবং বাংলাদেশে আইসিটি খাতের সক্ষমতা বাড়াবে।

৩. চীন-বাংলাদেশ ফিনটেক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম:

অর্থনীতি খাতের পেশাজীবী, গবেষক ও শিক্ষকদের জন্য এই প্রোগ্রামের আওতায় চীনে উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। ফিনটেক ও মাইক্রোফিন্যান্স প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করাই এর লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. ইমদাদ উল বারী (অব.), আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি রিসার্চ রিপোর্ট উন্মোচন করা হয়। বিটিআরসি ও চায়না অ্যাকাডেমি অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি (সিএআইসিটি) যৌথভাবে এই রিপোর্টটি প্রণয়ন করেছে। এতে বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড সংযোগের বর্তমান অবস্থা, জাতীয় নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরে হুয়াওয়ের ভূমিকা প্রশংসনীয়। প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্যানজুন ফেং জানান, এই নতুন অফিস আমাদের উদ্ভাবনী কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে। আমরা বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক রূপান্তর ও টেকসই উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যাব।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান ইমদাদ উল বারী বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংযোগ সম্প্রসারণে হুয়াওয়ের উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর মন্তব্য করেন, গুলশানে হুয়াওয়ের নতুন সদর দপ্তর আমাদের আইসিটি খাতের বিকাশ এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য সুযোগ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

হুয়াওয়ের এই নতুন উদ্যোগ এবং গুলশানে তাদের অফিস উদ্বোধন বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করবে বলে আশা করা হচ্ছে। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, দক্ষ জনশক্তি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সমন্বয়ে দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

বায়ান্ন/এমএমএল/একে