বান্দরবান রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী বথি পাড়া এলাকায় সেনাবাহিনী ও জেএসএস (মূল) স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী দলের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে সেনা কর্মকর্তা হত্যার প্রতিবাদে বান্দরবান এক প্রতিবাদ সভা ও সমাবেশ হয়েছে।
“সর্বক্ষেত্রে পার্বত্য এলাকার সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে" এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে শান্তিচুক্তি ভঙ্গকারী সন্তু লারমা মদদপুষ্ট জেএসএস (মূল) সন্ত্রাসী কর্তৃক গত ২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বান্দরবান রুমা উপজেলার সেনা টহলে গুলি বর্ষণ করে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান হত্যা প্রতিবাদে বান্দরবানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
আজ (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বৈরী আবহাওয়া বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু পাঠাগার হতে বান্দরবান পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে সামনে এসে সমবেত হয়। এ সময় বিভিন্ন প্লেকার্ড ও ফেষ্টুন হাতে নিয়ে প্রায় চার শতাধিক সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। পরে সেখানে এক প্রতিবাদ সভা আয়োজন করেন।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য এলাকায় সন্তু লারমার মদদপুষ্ট জেএসএস (মূল) সন্ত্রাসীরা বান্দরবানের রুমায় সেনা টহল এর উপর গুলিবর্ষণ করে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানকে হত্যা করে। ওই সময় তাদের আরেক সৈনিক ফয়েজ গুলিবিদ্ধ হয়। এটি রাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের হুমকি ও হতাশাজনক উল্লেখ করে সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবি জানান তারা।
পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুুষকে জিম্মি করে খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানান অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা। পার্বত্য অঞ্চল থেকে এই সন্ত্রসী গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে হবে। অন্যথায় আগামীতে কঠোর কর্মসূচী দেওয়ার ঘোষণা দেন সমাবেশ থেকে বক্তারা।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের বান্দরবান জেলা সভাপতি কাজী মুজিব রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন তারু মিয়া, সহ সভাপতি আবু কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, পৌরসভা সভাপতি শামসুল হক শামু, লামা উপজেলার সভাপতি নুরুল আমিনসহ সংগঠনে নেতকর্মীরা ও সর্বসাধারণ জনগণ। সভা শেষে নিহত সেনা সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন উপস্থিত জনসাধারণ।