বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কনসেপ্টই হত্যা করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার সুযোগ নাই, এটি মৃত ইস্যু। এখন সরকারের সকল অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা যখন বলি স্মার্ট বাংলাদেশ, তখন তারা বলে টেক ব্যাক বাংলাদেশ। চারদিকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের আস্থা দেশের জনগণের উপর। আর জামায়াত-বিএনপির আস্থা বিদেশীদের উপর। যারা ৭১ সালে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিলো, ৭৪ সালে যারা ত্রাণের জাহাজ ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, যাদের প্রত্যক্ষ মদদে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই বিদেশি শক্তিকে সাথে নিয়ে তারা গভীর ষড়যন্ত্র লিপ্ত। যথাসময়ে, জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ফ্রি এণ্ড ফেয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২৬ জুন) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক খাদ্য মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আরো বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্যে বিচারপতিদের মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাদের পছন্দের বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করবে বলে। পরে কিভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন হয়েছিল, তা আপনাদের মনে আছে। বার বার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের বদল করা হয়েছিলো। তিনটি অপশন না মেনে ইয়াজ উদ্দিন সাহেব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হয়েছিলেন। তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর থেকেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনীতিকে বিতারিত করতে চেয়েছিলো। শেখ হাসিনাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল, বেগম খালেদা জিয়া যে মামলায় আজ দণ্ডপ্রাপ্ত সেই মামলায় তাকে জেলে নিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কারাগারে নিয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) নেতা বিদেশে পলাতক তারেক রহমানকে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার এমনভাবে শারীরিক নির্যাতন করেছিল, বিমানবন্দরে তাকে হুইলচেয়ারে যেতে হয়েছিলো।তারা বেহায়ার মতো আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে! এখন সরকারের সকল অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা যখন বলি স্মার্ট বাংলাদেশ, তখন তারা বলে টেক ব্যাক বাংলাদেশ। চারদিকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের আস্থা দেশের জনগণের উপর। আর জামায়াত-বিএনপির আস্থা বিদেশিদের উপর। যারা ৭১ সালে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, ৭৪ সালে যারা ত্রাণের জাহাজ ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, যাদের প্রত্যক্ষ মদদে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী করা হয়েছিল, সেই বিদেশি শক্তিকে সাথে নিয়ে তারা গভীর ষড়যন্ত্র লিপ্ত।
জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কোয়ারে আয়োজিত জনসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি'র সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, জেলা আওয়ামী লীগের জেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌরমেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন।