ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিলাইছড়ির মোনপাড়ায় সুপেয় পানির সংকটে গ্রামবাসী

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিঃ- | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২ মে ২০২৩ ০২:০৮:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন
 
 
 
 
রাঙ্গামাটি বিলাইছড়ি উপজেলায় দীঘলছড়ি মোন পাড়ায় সুউচ্চ পাহাড়ে  ব্যবহার ও সুপেয়  পানির  তীব্র  সংকটে রয়েছে প্রায় ৪৫ পরিবার। 
 
সুপেয় পানির জন্য গ্রামবাসীর অবস্থা খুবই  করুণ ও হাকাকার অবস্থায় রয়েছেন । সেখানে  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই অবস্থা। ঐ পাড়ায়  জরুরি পানি সংকট সমাধান   না করলে বড় অসুবিধায় পড়বে  বলে  জানান এলাকার কার্বারি কান্দারা চাকমা। 
 
মঙ্গলবার  (২ মে)  কার্বারি ও  এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা হলে  জানা যায়, পাড়াটি সমূদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট উপরে যা বিলাইছড়ি ও জুরাছড়ির সীমানার কাছাকাছি। পাহাড়ের ঢালে জুম চাষের জন‍্য একমাত্র ভরসা।
 
মোন পাড়ায়  একটি মাত্র কূপ বা কুয়া পানি রয়েছে। তাও পাহাড় বা পাড়া  থেকে অনেক  নীচে,সেখানে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে লাইনে দাড়িয়ে পানি সংগ্রহ করতে হয়।তাও কোন কোন সময় পাওয়া যাচ্ছে  না।বর্তমানে একেবারে শুকিয়ে গেছে। 
 
 
পাহাড় থেকে মূল ঝর্ণায়  পানি সংগ্রহ করতে হলে প্রায় এক থেকে  দেড় কিলোমিটার পাহাড়ি ছড়ার নীচ  থেকে হেঁটে পানি আনতে হচ্ছে ।
 
এসব বিষয়ে দীঘলছড়ি মোন পাড়া সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কালিদাস চাকমা জানান, প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে তীব্র গরমে শুকিয়ে যায় কূয়ার পানি, ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন।সবচেয়ে বেশি পানি সংকটে পড়ে বিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থী ও শিশুরা। ফলে দেখা দেয় নানা রোগের প্রাদূর্ভাব। এবছরে এই কূয়ার পানি তীব্র গরমে একেবারে শুকিয়ে গেছে, অন্য একটি কূয়া থেকে পানি আনতে গেলে  প্রায় ৩০০ ফুট পাহাড়ের  নীচে যেতে হচ্ছে । এবং সেটি খুবই বিপদজনক, গভীর খাদ, খাড়া,  অসম্ভব, পা পিছলে পড়লে সমস্যা হতে পারে, অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে । 
 
এই বিষয়ে ১ নং বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান জানান, উপজেলা পরিষদ হতে প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে অনুমোদন হলে বাস্তবায়ন করা হবে। 
 
এইসব বিষয়ে বিলাইছড়ি উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী  প্রকৌশলী রিপ্রেশ তালুকদার  জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি, কিভাবে পানি সংকট সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যায় তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবো। 
 
এই গ্রামের মানুষেরা যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসলেও  সুপেয় পানির সু-ব্যবস্থার থেকে  এখনো বঞ্চিত। বিগত সময়ে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনে সুপেয়  পানি সংকট সমাধানে  আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি দিলেও   এযাবৎকালে বাস্তবায়ন  তারা কেউ সমাধান করেনি।
 
তাই অসহায় এই পরিবারগুলোর দ্রুত পানির সমস্যা নিরসনে   উপজেলা পরিষদ,জেলা পরিষদ নতুবা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড অথবা কোনো দাতাসংস্থার  সুদৃষ্টি প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকাবাসীরা।