ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিভাগে চান্স পেলো জমজ বোন

হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল | প্রকাশের সময় : বুধবার ৬ এপ্রিল ২০২২ ০৪:০৮:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

 

টাঙ্গাইল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রায় কাছাকাছি নম্বর পেয়ে একই বিভাগে ভর্তি হয়েছে জমজ দুই বোন।  টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আকুরটাকুর পাড়ায় বেড়ে ওঠা জমজ দুই বোন ইসরাত জাহান প্রিয় ও নুসরাত জাহান স্বপ্ন এ বছর গুচ্ছ ভর্তি পরিক্ষায় ৪৩ ও ৪২.৫ নম্বর পেয়ে মাভাবিপ্রবিতে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন।

ঠিকাদার বাবা এনামুল হক তালুকদার ও গৃহিণী মা আফরিনা আফরিনা দম্পতির ঘর আলো করে ২০০২ সালের ২১ জুলাই  জন্ম নেয় জমজ সন্তান ইসরাত জাহান প্রিয় ও নুসরাত জাহান স্বপ্ন।

এর আগে স্কুল জীবনে দুই বোনই টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তারা উভয়ই টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি কলেজ থেকে প্রায় কাছাকাছি জিপিএ পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। যেখানে প্রিয় ৪.২৫ ও স্বপ্ন ৪.১৭  জিপিএ পান।

এবারের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ১ম বর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান ইউনিটে পরীক্ষা দিয়ে ৪৩ ও ৪২.৫ পেয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন প্রিয় ও স্বপ্ন।

দুই বোনের জন্মসময় ও চেহারার মিল থাকার পর স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফলাফলেও এত মিল থাকাটা তাদের দুই বোনকেও অবাক করে বলে জানায় তারা।

ইসরাত জাহান প্রিয় বলেন, ‘দুই বোনের একসাথে এক জায়গায় পড়ার সুযোগ হয়েছে এতে আমাদের থেকে বাবা ও মা বেশি খুশি হয়েছেন। তারা এমনটা চাইতেন সবসময়। আমরা ছোটবেলা থেকেই প্রায় একই রকম ভাবে বড় হয়েছি। মাঝে মাঝে ঝগড়া হলেও আমরা মিলে গেছি তাড়াতাড়ি।

নুসরাত জাহান স্বপ্ন বলেন, ‘আমাদের দুই বোনের স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় এক হওয়াটা খুব স্বাভাবিক মনে হলেও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগে দুই বোনের চান্স হবে তা কখনও ভাবিনি। এই বিষয়টা আমাদের কাছেও অবিশ্বাস্য মনে হয়। প্রয়োজনীয় সকল কিছুই আমাদের দুই বোনের একই হয়, সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগটিও একই হলো। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগে চান্স পাওয়ায় আমরা ভীষণ খুশি।’

এ বিষয়ে মা আফরিনা আফরিনা বলেন, আমার জমজ দুই মেয়ে স্কুল, কলেজের পর এবার একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগে চান্স পেয়েছে এতে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। এ আনন্দ বলে প্রকাশ করার মত নয়।