মিরসরাইয়ে বড়তাকিয়া বাজারের যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত মুদ্দার খিল নামে একটি অনেক পুরাতন কবরস্থান রয়েছে। উক্ত কবরস্থানটিতে দোকানঘর নির্মাণাধীন করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা এসএম জামিউল হিকমাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সরকারী খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গায় ও কবরস্থানটি বেদখল হওয়ায় মাসুদ রানা নামের ব্যক্তিকে নিজ দায়িত্বে উক্ত দোকান গুলো সরিয়ে নিয়ে কবরস্থানে জায়গাটি অবমুক্ত করার জন্য মৌখিক ভাবে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন ।
নূরের নেহার নামের বৃদ্ধা বলেন ,শুনেছি ওইখানে অনেক জনের পুরাতন কবর ছিল। ভয়ে কেউ কোন ধরনের প্রতিকার করছেন না। উপজেলা প্রশাসনকে আমরা ধন্যবাদ জানাই উক্ত কবরস্থানে জায়গাটি অবমুক্ত করার যে উদ্যোগ নিয়েছে তার জন্য।
ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, যুদ্ধের সময় এখানে গণকবর দেয়া হয়। মুদ্দারখিল এই কবরস্থানে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় অসংখ্য লাশ ও শিশুর মরদেহ এখানে কবরস্থ করা হতো।
মায়ানী ইউনিয়নের সৈদালী গ্রামের বাসিন্দা দানু মিয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের সময় শহীদ মোখলেসুর রহমান এর স্ত্রীকে কবর দেয়া হয়েছে। উক্ত কবরস্থানটিতে একই গ্রামের মৃত এবায়েদ উল্লাহর ছেলে আনু মিয়ার প্রকাশ (আনু ড্রাইভার) এখানে কবর দেয়া হয় বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
এই বিষয়ে মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহমদ নিজামী বলেন, জায়গাটিতে কবরস্থান ছিল আমিও এই বিষয়ে অবগত হয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভবন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
অভিযুক্ত মাসুদ রানা বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে আজিজুল হক গং থেকে আমি এই জায়গার উপর নির্মিত দোকান দখল সূত্রে ক্রয় করি। এই দোকান গুলোর পিছনে আমার নিজস্ব জায়গা রয়েছে।আমাকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, উক্ত জায়গাটি সরকারের খাস ভক্ত এবং জমির শ্রেণী কবরস্থান রয়েছে । মৌখিকভাবে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে এসেছি এবং পরবর্তীতে আমরা লিখিত আকারে উচ্ছেদ নোটিশ প্রদান করছি । কবরস্থানটির জায়গা উদ্ধার করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামান্তর করা হবে।