ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধকে বর্বরতার নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছেন পুতিন: যুক্তরাষ্ট্র

নিউজ ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৪ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:২১:০০ পূর্বাহ্ন | আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘বর্বরতার’ নতুন স্তরে নিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ একজন কূটনীতিক। তিনি বলেছেন, পুতিন ইউক্রেনের সাথে শান্তি আলোচনার বিষয়ে আন্তরিক নন।

 

একইসঙ্গে বেসামরিক নাগরিকদের আলো নিভিয়ে যুদ্ধকে ‘বর্বরতার’ নতুন স্তরে নিয়ে গেছেন তিনি। রোববার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

 

সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো ধ্বংসে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে শনিবার কিয়ে। সফর করেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। সেখানে রুশ আত্রমণ মোকাবিলায় সমর্থন জানাতে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন তিনি।

 

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘(যুদ্ধ বন্ধে) কূটনীতি অবশ্যই সবার অগ্রাধিকার কিন্তু সেটি করতে গেলে আপনার একজন আগ্রহী অংশীদার থাকতে হবে। এবং এটি খুব স্পষ্ট, জ্বালানি অবকাঠামোতে আক্রমণ হোক আর ক্রেমলিনের বাগ্মীতা; যেটিই হোক না কেন, পুতিন এর জন্য এখনও আন্তরিক বা প্রস্তুত নন।’

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, রুশ নেতা যুদ্ধ শেষ করতে আগ্রহী হলে তিনি পুতিনের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত। কিন্তু বাইডেনের এই পরিকল্পনা বেশ দ্রুতই গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে যখন ক্রেমলিন জানায়, পশ্চিমাদের অবশ্যই মস্কোর চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলের রুশ অধিগ্রহণকে স্বীকৃতি দিতে হবে।

 

 

রাশিয়ার এই প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নুল্যান্ড বলেন, ‘বাইডেনের পরিকল্পনা সম্পর্কে মস্কোর এই জবাব এটাই দেখাচ্ছে যে, তারা (রাশিয়া) যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে ততটা আগ্রহী নয়’।

 

সংবাদমাধ্যম বলছে, রাশিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে। মূলত, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সাথে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম রেল ও সড়ক সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে গত ৮ অক্টোবর থেকে ইউক্রেনের জ্বালানি নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামোগুলোতে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া।

 

এর মধ্যে গত মাসে অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের বৃহত্তম বন্দরনগরী সেভাস্তোপলের কাছে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর বেশ কয়েক দফায় ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে রাশিয়া কার্যত ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি চালায়।

 

মূলত সম্মুখসারির যুদ্ধে ব্যর্থতার পর রাশিয়ার সাম্প্রতিক এসব হামলা একটি বিস্তৃত কৌশলের অংশ এবং শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে ইউক্রেনে রুশ এই কৌশলের প্রভাব আরও তীব্রভাবে অনুভূত হতে শুরু করেছে।

 

নুল্যান্ড বলছেন, ‘পুতিন এই যুদ্ধটিকে বর্বরতার একটি নতুন স্তরে নিয়ে গেছেন। যুদ্ধকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিটি বাড়িতে নিয়ে গেছেন। সেখানে তিনি লাইট এবং পানি সরবরাহ বন্ধ করার চেষ্টা করছেন এবং যুদ্ধক্ষেত্রে পুতিন যা পারেননি এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি তা অর্জন করার চেষ্টা করছেন।’