বিএনপি আজ সোমবার (৩১ জুলাই) রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব মহানগর ও জেলা সদরে জনসমাবেশ করবে।
বিএনপির এর আগের কর্মসূচিগুলোতে পাল্টা কর্মসূচি দিলেও আজ ওই ধরনের কোনো আয়োজন নেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের।
তবে তারা মহানগরীর সব থানা ও ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থানে থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে আজ বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মুখোমুখি অবস্থানে বলা যায়।
গত শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আজকের জনসমাবেশের ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঢাকায় দুপুর ২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে সমমনা অন্য দলগুলোও একই কর্মসূচি পালন করবে।
তবে আজ আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের মতো পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা না করলেও রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ব্যানারে মহানগরীর সব থানা ও ওয়ার্ডে নেতাকর্মীর ‘সতর্ক অবস্থান’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আজ দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে শান্তি সমাবেশের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। তবে গতকাল তা স্থগিত করা হয়।
এদিকে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের রাজপথের অবস্থানে আবারও নানা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর আগে শুক্রবার মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যে দুই দল বড় দুটি সমাবেশ করলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই তা শেষ হয়।
পরদিন শনিবার বিএনপির ডাকা রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচিকে ঘিরে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।
এদিন রাজধানীর কয়েকটি স্থানে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশের হামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ও সিনিয়র নেতাসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হন। গ্রেপ্তার হন অনেকে।
অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হন পুলিশেরও বেশ কয়েকজন সদস্য। এসময় আগুন দেওয়া হয় কয়েকটি বাসে।
বিএনপি আগুনসন্ত্রাসে মেতে উঠেছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো যে কোনো মূল্যে বিএনপিকে ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে।
গতকাল (রোববার) বিভিন্ন সভা-সমাবেশ থেকে রাজপথে বিএনপির যেকোনো কর্মসূচি প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। অন্যদিকে বিএনপিও যে কোনো মূল্যে ঘোষিত কর্মসূচি সফর করতে মরিয়া। এমন প্রেক্ষাপটে আবারও যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এক গণমাধ্যমকে বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথ ছেড়ে দিলে বিএনপি কী করতে পারে, তা শনিবার প্রমাণিত হয়েছে। আমরা ওই দিন মাঠে নামতে চেইনি। কিন্তু বিএনপি যখন ধ্বংসাত্মক হওয়ার চেষ্টা করেছে, তখনই আমরা মাঠে নেমেছি।