ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রায়পুরে নদীভাঙ্গনে ফসলি জমি,বসতবাড়ি বিলীনের পথে

মোঃওয়াহিদুর রহমান মুরাদ, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০৫:৪০:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্থানীয় সাংসদ নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস।

 

লক্ষ্মীপুর -২ আসনের রায়পুর উপজেলার ১নং উত্তর চর আবাবিল  ও ২নং উত্তর চর বংশী ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন আজ মঙ্গলবার সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি ।

রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নে বর্ষা পেরুলেও শুষ্ক মৌসুমেও চর কাছিয়া, চর ঘাশিয়া ও চরলক্ষ্মী, চর আবাবিল, চর জালিয়া, মাষ্টার ঘাট গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত এক বছরে প্রায় ২’শ বসতঘর ও ৪টি মাছের আড়ৎ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মফিজ খাঁ বলেন, ভাঙ্গনে চরাঞ্চলের লোকজন প্রতিনিয়ত ভিটেমাটি হারানোর ভয়ে আতঙ্কের মাঝে বসবাস করছে। অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে ফসলি ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গৃহহারা এ মানুষগুলো এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। এ বছর বর্ষা ও টানা বর্ষণে কয়েক শতাধিক একর ফসলি জমি, বাগান, ও কয়েক’শ বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গিয়েছিল। ভূমিহীন হয়েছে প্রায় ৩০০ পরিবার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চরাঞ্চলের হাবিব গাজী, সৈয়দ চকিদার, রহুল আমি মেম্বার ও হুমায়ন প্রধানিয়ার মাছের আড়ৎসহ বেশ কয়েকটি দোকান মেঘনার ভাঙ্গনে চিরতরে তলিয়ে যায়। এছাড়া অনেক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো সবকিছু হারিয়ে এখন নিঃস্ব। কোথাও জায়গা না পেয়ে বসতভিটা হারিয়ে অনেকেই খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।এখন হুমকিতে আছে আরও সমপরিমান পরিবার। স্থানীয় সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন কিছুদিন পূর্বে নদী ভাঙ্গনের চিত্র দেখেছেন। কিন্তুু ভাঙ্গনরোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়ার মতো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।

আজ রায়পুর উপজেলার ১নং উত্তর চর আবাবিল  ও ২নং উত্তর চর বংশী ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন আজ মঙ্গলবার সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি এই সময়ে সাথে ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ মাষ্টার ,বিটিএমএ এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন, চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, নুরে হাওলাদার জিকু সহ অনেকই ।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার বলেন, ভাঙ্গনের মুখে ফসলি জমিসহ পশ্চিমাঞ্চল বর্ষা ও শুষ্ক মৌসমে প্রতিটি সময় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমান সংসদ সদস্য সরেজমিন পরিদর্শন করে কার্যকর ব্যবস্থ্যা নিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। 

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, খুব শীগ্রই নদী ভাঙ্গনরোধে পানি সম্পদ মন্ত্রী পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। স্থায়ী সমাধান ব্যাতিত ভাঙ্গন ঠেকানো সম্ভব নয়। সরেজমিনে পরিদর্শন করে অবগত হয়েছে টেকসই বাঁধ নির্মিত হলে পর্যটন খাতও সমৃদ্ধ হবে।