লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জহিরুল ইসলাম টেন্ডারের দাখিল করা কাগজপত্র ও পে-অর্ডার যাচাই না করেই সড়ক সলিংকরণ (এইচবিবি) কাজের লটারিতে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এতে লটারি নিয়ে গরমিল দেখা দিয়েছে। একই কাজের জন্য একই সময় দু’বার লটারি করা হয়েছে। পিআইও কয়েকজন ঠিকাদারের কাছে ‘ম্যানেজ’ হয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এন.আমিন কনস্ট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী মো. নুরুল আমিন ইয়াদ এ অভিযোগ করেছেন। একই ঘটনায় নুরুল আমিন ইয়াদ জেলা প্রশাসক, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এবং রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, দূর্যোগ-ব্যবস্থাপনা শাখার অধীনে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের স্লুইস গেট পাকা রাস্তা হতে ভুলুয়া নদীর ব্রীজ পর্যন্ত আশ্রয়ণ রাস্তা এইচবিবিকরণ (৪৫০.০০ মিটার) এবং চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের ২ নং সাইচ গেট হতে বাশু পাটোয়ারীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা এইচবিবিকরণের (৫৫০ মিটার) দরপত্র আহবান করা হয়। ৬০ লাখ ৪২ হাজার ১৯০ টাকার এ কাজের জন্য মেসার্স এন.আমিন কনস্ট্রাকশনসহ ১০৪টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিডিউল জমা দেন। নির্ধারিত সময় ২৪ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় প্রকল্পের সভাপতি ও রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরীসহ ঠিকাদারদের উপস্থিতিতে লটারি করা হয়। এতে মেসার্স এন.আমিন কনস্ট্রাকশন প্রথম হয়। কিন্তু ১৩টি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার টেন্ডারে পে-অর্ডার ও সিকিউরিটি পর্যাপ্ত পরিমাণ দেননি। এতে কয়েকজন ঠিকাদারের আপত্তিতে পিআইও জহিরুল ইসলাম টেন্ডারের পুনরায় লটারি করেন। এটি নিয়ম বহির্ভূত।
জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডার দাখিল করার পর কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করবেন। সে অনুযায়ী টেন্ডারের লটারি করা হবে। কিন্তু তা না করেই লটারি করা হয়। এতে লটারির পর জানা যায়, ১৩ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পে-অর্ডার পর্যাপ্ত পরিমাণ জমা দেননি। যদি লটারিতে এ ১৩ প্রতিষ্ঠানের কেউ প্রথম হতো, তাহলে তাদের কাজ বাতিল হলে পুনরায় লটারিতে আপত্তি থাকে না। কিন্তু কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সঠিক নিয়মে টেন্ডার দাখিল করে কাজ পেলে তা বাতিল আইনসিদ্ধ নয়।