মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে ¯ট্যাটাস ও মন্তব্য করায় মির্জাগঞ্জ উপজেলার তিন ইউনিয়নের ছাত্রলীগের ৫ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর সুপারিশ করা হয়।
বুধবার (২৩ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটার দিকে ও (২৪ আগস্ট) সকালে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফ এর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৫ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
মির্জাগঞ্জ উপজেলার তিন ইউনিয়নের ছাত্রলীগের বহিষ্কার হওয়া নেতারা হলেন আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বেল্লাল শিকদার, একই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি সজিব মল্লিক ও সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ এবং ১নং মাধবখালি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব আহম্মেদ সানি, ও দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক।
দলীয় সূত্র জানায়, জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর ছাত্রলীগ নেতা বেল্লাল তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ‘ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন। অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাকে ভালোবাসি। কুরআনের পাখি আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী আর নেই। দেশ এক বরেণ্য আলেম কে হারালেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন আমিন লিখে দুটি ছবি শেয়ার করেন এবং ছাত্রলীগ এর অন্যান্য নেতারাও একই ধরনের ¯ট্যাটাস দিয়ে ছবি পোস্ট করেন। যা নিয়ে উপজেলাব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি দলীয় নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী বলে পাঁচ ছাত্রলীগ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার সুযোগ নেই। নীতি আদর্শ পরিপন্থী কাজের জন্য তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। কি কারনে এত বিলম্ব হলো প্রশ্নের জবাবে সভাপতি বলেন তদন্ত করে জানার জন্য একটু সময় লেগেছে।
বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতারা জানান, কি কারনে আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তা জানা নেই।