চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সাঙ্গু নদীতে বালুবাহী নৌকা ডুবির পর সাঁতার দিয়ে তীরে উঠতে গিয়ে পানিতে ডুবে নিখোঁজের সাড়ে ১৬ ঘণ্টা পর আব্দুল হামিদ (১৭) নামে এক বালু শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার আমিলাইষ ইউনিয়নের সাঙ্গু নদীর চরাঞ্চল সংলগ্ন ডুবে যাওয়ার কাছাকাছি স্থান থেকে ওই শ্রমিকের লাশটি উদ্ধার করা হয়। বালু শ্রমিক হামিদ উপজেলার চরতি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড খইন্নার বাড়ি এলাকার জাগির হোসেনের ছেলে। সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার এস এম হুমায়ুন কার্ণায়েন বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের আটজন ও চট্টগ্রাম আগ্রাবাদের পাঁচজনসহ মোট ১৩ জন ডুবুরির একটি দল যৌথভাবে বালু শ্রমিককে উদ্ধারের জন্য সাঙ্গু নদীতে অভিযান শুরু করে। দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নিখোঁজ হওয়ার স্থান থেকে প্রায় ১০ ফুট দূরে গিয়ে নদীর তলদেশ থেকে ওই বালু শ্রমিকের লাশটি উদ্ধার করে নদীর তীরে উঠানো হয়।
হুমায়ুন কার্ণায়েন আরও বলেন, গত বুধবার বিকালে এক ব্যক্তি সাঙ্গু নদীতে ডুবে নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনে ডুবুরি দলের ১৩ সদস্যের একই দল ওই শ্রমিককে উদ্ধারের জন্য অভিযান চালিয়েছিল। নদীতে জোয়ার থাকায় উদ্ধার সম্ভব হয়নি। পরে অন্ধকার নেমে আসায় উদ্ধার কাজ অসমাপ্ত রেখেই নদী থেকে উঠে আসতে হয়েছিল উদ্ধারকারী দলকে। লাশটি সাতকানিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিখোঁজ হামিদের বড় ভাই মো. ইসমাইল বলেন, ছোট ভাই নিয়মিত ট্রাকে বালু লোড—আনলোডের কাজ করত। গত বুধবার হঠাৎ কাউকে না জানিয়ে বালু তোলার এক নৌকার মালিকের সাথে বালু তুলতে নদীতে চলে যাই। বিকেল ৩ টার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় নৌকা উল্টে গেলে দুইজন বালু শ্রমিক সাঁতার কেটে নদীর তীরে উঠতে পারলেও আমার ভাই নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদী থেকে ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করে। সাতকানিয়া থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) মুমিন হোসেন বলেন, লাশের সুরতহাল শেষে প্রাথমিকভাবে বুঝা গেছে পানিতে ডুবেই ওই ব্যক্তি মারা যান। লাশের পরিবারের পক্ষ থেকে