বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দুপুরের খাবার খাওয়ানোর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অসুবিধা দেখছেন না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দুপুরের খাবার খাওয়ানোর ভিডিও প্রকাশ কিভাবে দেখেন জানতে চাইলে কাদের বলেন, তো হয়েছে কি? যা সত্য সেটা আসছে, অসুবিধা কি? যেটা সত্য এটা আসছে, সেটা তো আর কিছু বলার নাই। কেউ সাজিয়ে দিয়েছে কিনা সেটা ভিন্ন খবর। উনি তো রুই মাছ দিয়ে ভালো করেই খাইছেন।
গোয়েন্দা প্রধানের দপ্তরে খাওয়া-দাওয়ার ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেওয়া উচিত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,
উনি কেন খাইলেন এটা জিজ্ঞেস করেন। এতো ক্ষুধা রাজনীতিক নেতার? কিসের রাজনীতিক? তিন দিনও খাইনি আমরা একসাথে। আন্দোলনে হয়তো উনার ক্ষুধা লাগছে। ক্ষুধা লাগছে উনি খেয়েছেন। আমানরে সৌজন্য, একজন রাজনৈতিক কর্মী, তার কাছে নেত্রী কিছু ফল পাঠিয়েছেন, এটি পাঠাতেই পারেন। সে একটু অসুস্থ হইছেন ফল পাঠানো নিয়ম, রাজনীতিতে সৌজন্যতা তো বিদায় নেবে না।
খাওয়ানোর পর তা ভিডিও করে ছেড়ে দেওয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে কিনা, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা কি রাজনৈতিক লোকেরা করছে? আরে গোয়েন্দার কাজই তো এমন। গোয়েন্দা গোয়েন্দাই। সে তো তথ্য নিয়ে বের করার জন্য বসে আছে। বিপ্লব বড়ুয়া আর আরাফাত গিয়ে তো করে নাই।
এসময় ওবায়দুল কাদেরের পাশে আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা বসে ছিলেন।
গত শনিবার (২৯ জুলাই) ঢাকা মহানগরীর প্রবেশপথগুলোতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির সময় অসুস্থ হয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেখানে তাকে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফুল, ফল এবং কিছু খাবার পৌঁছে দেয়া হয় বিএনপি নেতার কাছে।
পরে ফেসবুকে লাইভে এসে এই ঘটনাকে সরকারের সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেন আমান।
এদিকে রাজধানীর ধোলাইপাড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় আহত অবস্থায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে আপ্যায়ন করেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ। তাদের দুজনের একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের ভিডিও এবং ছবি নিয়ে সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হয়।
পরে ডিবিপ্রধানের এই আপ্যায়নকে তামাশাপূর্ণ নাটক বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা।