ঢাকা, শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ই শ্রাবণ ১৪৩১

কক্সবাজার মহেশখালীতে ঝুকিপূর্ণ কালভার্টে বাঁশের গুড়ির সিগনাল

স.ম ইকবাল বাহার চৌধুরী, কক্সবাজার : | প্রকাশের সময় : শনিবার ৮ জুন ২০২৪ ০৫:৫৮:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশের মেগা প্রকল্পের জেলা খ্যাত কক্সবাজারের  ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালীর প্রধান সড়কের হোয়ানক বাজারের উত্তর পাশে ধ্বসে যাওয়া ঝুকিপূর্ণ কালভার্টে যানবাহন ও পথচারীদের  জন্য সতর্ক সিগনাল হিসাবে ব্যবহার করছেন বাঁশের গুড়ি। তবে এটি-ই যেকোনো মুহুর্তে বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে এমনই জানান সচেতন মহল। ওই কালভার্টের আশে পাশেই রয়েছে হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, হোয়ানক ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও টাইম বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দ্বীপের অন্যতম ব্যস্ততম বড় বাজার হোয়ানক টাইম বাজার। প্রতিদিন স্কুল মাদ্রাসাগামী ছাত্রছাত্রী ও ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা ও প্রতিনিয়ত বাজার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি, এভাবে থাকলে  অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্টনার শিকার হতে পারেন যে কেউ। ডিজিটাল আইল্যান্ড খ্যাত মহেশখালীতে প্রধান সড়কের এমন দৃশ্য দেখে অনেকেই ক্ষোভে বাঁশের গুড়ি কে ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম বলে ফেসবুক পোস্ট করেন।

 

 

চার পাঁচ মাস হলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ধসে পড়া কালভার্টের প্রয়োজনীয় কাজ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন সড়কে এভাবে বাঁশের গুড়ি ফেলে রাখলেও উপজেলা প্রশাসন কিংবা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও দুর্ঘটনা লাগবে ব্যবস্থা নেয়নি এমন অভিযোগ উঠেছে। কালভার্টের পূর্ব পাশে সড়ক জনপথ বিভাগের 'সামনে স্কুল 'এরকম লিখা একটি সাইনবোর্ড দৃশ্যমান। প্রধান সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের আসা-যাওয়া হলেও কারও দৃষ্টি পড়েনি। এভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো দ্রুত সময়ে কাজ না হওয়ায় বাড়ছে সীমাহীন ভোগান্তি, ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়রা বাঁশের গুড়ি দিয়ে যানবাহন চালকদের দৃষ্টিগোচর করেন। বাঁশের গুড়ি দেওয়ার ফলে সড়ক সরু হয়ে যায় ওই স্থানে, এতে অনেক সময় যানজট লেগে যায়। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা সড়ক পারাপারে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। 

 

 

এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর কাসেম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান -চার মাস পূর্বে কালভার্ট ধসে যাওয়ার বিষয়টি ইউএনও মহেশখালী কে অবগত করেন। ওই সময়ে ইউএনও বিষয়টি তাঁর আওতাধীন নয় বলে জানান'এমনটি বলেন ইউপি চেয়ারম্যান। তবে এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহে আরেফিন জানান, কালভার্ট ধসে পড়েছে মাসখানেক হচ্ছে তা দ্রুত সময়ে মেরামত কাজ করা হবে। তবে চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা জানান ভিন্ন কথা -দীর্ঘ চার মাস পূর্বে হয়েছে কালভার্টে ধস, কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ওই সময়ে কোন দুর্ঘটনা হলে এর দায়ভার কে নিতো? এমন প্রশ্ন সচেতন মহলে। তাই জন দুর্ভোগ লাগবে এধরণের কাজে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী স্থানীয়দের। মূলতঃ কোন এক হৃদয়বান ব্যক্তি ধসে যাওয়া কালভার্টে দুর্ঘটনা রোধকল্পে বাঁশের গুড়ি  দিয়ে যানবাহনের জন্য সতর্ক বার্তা দিয়েছেন বলে জানা যায়। এভাবে কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা, বাড়ছে অপমৃত্যু। তবুও ঘুম ভাঙ্গে না কর্তৃপক্ষের।  বিষয়টি নিয়ে সউজ কক্সবাজার কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন এ প্রত্যাশা দ্বীপবাসীর।