ঢাকা, শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ই শ্রাবণ ১৪৩১
মিশ্র প্রতিক্রিয়া পর্যটন সংশ্লিষ্টদের

'বোরি' কক্সবাজারে পর্যটক নিষিদ্ধ যে সৈকত

স.ম ইকবাল বাহার চৌধুরী, কক্সবাজার : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৯ জুন ২০২৪ ১০:৪৯:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এবার পর্যটক সহ স্থানীয়দের জন্য নিষিদ্ধ হলো পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সমুদ্রসৈকতে ‘বোরি বিচ’ নামক এলাকা ঘোষণার মাধ্যমে । এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে স্থানীয় সহ পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। যদিও এই বিচ থাকবে প্লাস্টিকমুক্ত ও শতভাগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। শুধু জীববৈচিত্র্যের নিরাপদ আবাসস্থল করতেই এই সৈকত এমনটি জানা গেছে। তাই বোরি বিচে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের যাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া যেতে পারবেন না স্থানীয় বাসিন্দারাও।

 

শনিবার (৮ জুন) দুপুরে মেরিন ড্রাইভ সড়কের রেজুখালসংলগ্ন উখিয়ার সোনারপাড়ায় এই সমুদ্রসৈকতের উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন।

 

মূলত এই সমুদ্রসৈকত বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হবে। এজন্য মেরিন ড্রাইভ সড়কের সোনারপাড়ার ২ দশমিক ৯১ কিলোমিটার সৈকত বোরিকে বুঝিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এখন থেকে এই সৈকতের দেখভাল করবে বোরি। প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানীরা সৈকতেই চালাবেন গবেষণা।

 

এদিকে স্থানীয় সহ পর্যটন সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসা, প্রতিনিয়ত এখানে পর্যটক আসে। তাই কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেওতো পর্যটকদের প্রবেশাধিকার থাকতে পারে। তা না হলে সৈকতের মধ্যখানে প্রায় ৩ কিঃমিঃ সৈকত থেকে বিচ্ছিন্ন মনে হবে। ঐ এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ীরাও চায় সর্তারোপ করে পর্যটকদের প্রবেশাধিকার থাকুক, নইলে শত শত পর্যটন ব্যবসায়ীর ব্যবসা লাটে উঠবে। লক্ষ লক্ষ টাকা পুঁজি দিয়ে গড়া ব্যবসার অপুরণীয় ক্ষতি হবে।

 

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক তৌহিদা রশীদ বলেন, বোরি এলাকার সমুদ্রসৈকত জোনটি কেবল গবেষণার কাজে আমরা মডেল হিসেবে ব্যবহার করবো। আমাদের সাথে পর্যটনের সঙ্গে কোনও কনফ্লিক্ট (দ্বন্দ্ব) নেই। এই সৈকত শুধু জীববৈচিত্র্যের নিরাপদ আবাসস্থল গড়তে এ উদ্যোগ। সৈকতটি থাকবে শতভাগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং প্লাস্টিকমুক্ত। এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে বোরির।সৈকতের পাশে যে মানুষরা বসবাস করেন, তারাও এতে উপকৃত হবেন। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও এখানে সম্পৃক্ত করা হবে।

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন বলেন, ‘বোরি বিচ সমুদ্রবিষয়ক গবেষণার একটি মডেল হবে। এখানে কীভাবে গবেষণার কাজ চলবে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সে সম্পর্কে ধারণা দিতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।