ঢাকা, শুক্রবার ৩ মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

কৃষি কাজই ব্রত: কৃষক হাফিজুরের

Author Dainik Bayanno | প্রকাশের সময় : রবিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৭:৪৪:০০ অপরাহ্ন | কৃষি ও প্রকৃতি

বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। শতকরা ৯১ জন লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। তাই কৃষক হাফিজুর রহমান কৃষি কাজকেই ব্রত করে নিয়েছেন। তিনি জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের দিগপাইত গ্রামের মরহুম মকবুল হোসেন ভূইয়ার ছেলে। কয়েক বছর আগে তিনি একই ইউনিয়নের মাতারপাড়া মৌজায় ৩৫ শতাংশ (পৈত্রিক) জমিতে খামারবাড়ি গড়ে তুলেছেন। কবি রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণীর ‘চাষী’ কবিতায় উল্লেখিত- “ব্রত তাহার পরের হিত, সুখ নাহি চায় নিজে/রৌদ্র দাহে শুকায় তনু, মেঘের জলে ভিজে।” এই মন্ত্রকে ব্রত করে নিয়েই কৃষক হাফিজুর রহমান ভূইয়া সেখানে বসবাসের পাশাপাশি বিভিন্ন শাক-সবজি ও বিভিন্ন ফলের আবাদ করছেন। এছাড়াও তিনি ৩৫ শতাংশ (বন্ধকী) ও দেড় একর (লিজ)সহ মোট  ১ একর ৮৫ শতাংশ জমিতে কৃষিকাজ করছেন। মোট জমির ৯৭ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন শাক-সবজি আর ৮৮ শতাংশ জমিতে ধান, পাট, ভূট্টা ও সরিষার আবাদ করছেন। এক কথায় তার খামারবাড়িতে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ও কবুতর পালন এবং লালশাক, পুই শাক, টমেটো, লাউ, ঝিঙা, বারই পটল, ধুন্দল, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মিষ্টি কুমড়া, শিম, বেগুন, কাঁচামরিচসহ বিভিন্ন শাক-সবজি ও পেয়ারা, লেবু, পেঁপেসহ বিভিন্ন ফলের আবাদ করছেন। ফলে নিজের পরিবারের গোশত, দুধ, ডিম ও বিভিন্ন শাক-সবজির চাহিদা মিটানোর পর বাড়তিটা বিক্রি করে বছরে বেশ কিছু টাকা আয় হয়। কয়েক বছর আগে জামালপুর সদর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে দেড় শতাংশ জমিতে একটি পারিবারিক পুষ্টি বাগানও করেছেন। পারিবারিক পুষ্টি বাগানে লেবু, পেয়ারা ও পেঁপের পাশাপাশি টমেটো, লালশাক, পালংশাক ও পুইশাক আবাদ করছেন। পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত শাক-সবজি ও ফলমূল বিক্রি করেন। এতে তার বাড়তি কিছু আয় উপার্জনও হয়। তিনি জানান, ধান-পাট আবাদে খরচ বেশি। ফসল ঘরে আসতে সময়ও বেশি লাগে। তাই এতে লাভ কম। অপরদিকে শাক-সবজি ও ফলমূল আবাদে লাভ বেশি। কারণ- অল্প দিনের মধ্যে তা বিক্রি করে নগদ টাকা পাওয়া যায়। তিনি আরও জানান, কৃষি অফিস থেকে সঠিক তদারকি ও পরামর্শের পাশাপাশি সহজ শর্তে কৃষি ঋণ পেলে কৃষকদের অনেক সুবিধা হবে।

 

 

কামরুল হাসান :

(লেখক: সাংবাদিক ও ডিরেক্টর- বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব, ঢাকা এবং সাবেক শিক্ষক ও এনজিও কর্মকর্তা।)