ঢাকা, শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

পুষ্পা সিনেমার আলোচিত লাল রক্ত চন্দন এখন টাঙ্গাইলের মধুপুরে

হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৮ এপ্রিল ২০২২ ০৪:৩৮:০০ পূর্বাহ্ন | কৃষি ও প্রকৃতি

সম্প্রতি রক্ত চন্দন নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় ‘পুষ্পা দ্যা রাইজ’ নামের তেলেগু সিনেমায়। এরপর থেকে বাংলাদেশেও আগ্রহ বেড়েছে এই গাছ নিয়ে। টাঙ্গাইলের মধুপুর জাতীয় উদ্যানে রয়েছে দেশের একমাত্র রক্তচন্দন বা লাল চন্দন গাছ। গাছটিকে দেখতে ভিড় করছেন  দূর-দূরান্ত থেকে আসা নানা বয়সি মানুষ। অতি মূল্যবান রক্ত চন্দ গাছের চাহিদা বিশ্বজুড়ে। ওষুধ, প্রসাধনী আর দামি আসবাবপত্র নির্মাণে ব্যবহৃত হয় দুর্লভ চন্দন কাঠ। আর তাই এই চন্দন কাঠ নিয়েই নির্মিত হয়েছে জনপ্রিয় ভারতীয় সিনেমা ‘পুষ্পা দ্যা রাইজ’।

সিনেমার পর এই রক্তচন্দন নিয়ে আলোচনা বাংলাদেশেও। সম্প্রতি টাঙ্গাইলের মধুপুর জাতীয় উদ্যানে খোঁজ মিলেছে একটি রক্ত চন্দন গাছের। যদিও বা গাছটির বয়স নাকি ৪০ বছর। আন্তর্জাতিক বাজারে অতিমূল্যবান হলেও দেশে দুর্লভ এই গাছটির বাণিজ্যিক মূল্য এখনো নির্ধারণ সম্ভব হয়নি। দেশে শ্বেত চন্দন রোপণ করে কিছুটা সাফল্য এলেও রক্ত চন্দনে ফলাফল শূন্য। তবে মধুপুরের এই গাছটি সংরক্ষণ ও বীজ উৎপাদন প্রক্রিয়ার চেষ্টা করছে বন বিভাগ।

বন বিভাগের সংরক্ষিত এলাকায় বিরল প্রজাতির গাছটি দেখতে দিন দিন বাড়ছে উৎসুক জনতার ভিড়। 

টাঙ্গাইল শহর থেকে গাছটি দেখতে আসা হারেজ মিয়া বলেন, এই লাল চন্দন গাছটি অনেক দামি। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এই গাছটি দেখতে আসে। তাই আমিও এ গাছটি দেখতে আসছি।

স্থানীয় বৃদ্ধা জামাল মিয়া (৬০) বলেন, এই গাছটি ৩০-৪০ বছর আগে রোপন করা হয়েছে। এ গাছটিকে দেখতে আগে তেমন লোকজন আসতো না। তবে পুষ্পা সিনেমা দেখার পর থেকে এ গাছটিকে দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে এখন লোকজন আসে।  এ গাছ প্রতি কেজি ১০ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি হয়। 

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যান বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, বাংলাদেশে একটি মাত্র রক্ত চন্দন গাছের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাই দেশের গাছটির সঠিক বাণিজ্যিক মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তবে ধারণা করা যায় গাছটির প্রতি কেজি কাঠের মূল্য ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা।

টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা  সাজ্জাদুজ্জামান বলেন, রক্ত চন্দন আমাদের দেশের একটি বিরল প্রজাতির গাছ। এটা রক্ষায় আমরা সবাই কাজ চালিয়ে যাব। এই গাছ বংশ বৃদ্ধির জন্য আমরা চারা তৈরির কাজ করছি।  

আইন অনুযায়ী বিরল প্রজাতির এই রক্ত চন্দন গাছ আমদানি করা নিষিদ্ধ।