ঢাকা, শুক্রবার ৩ মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে এক নবজাতকে হত্যার অভিযোগ

মো: রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও: | প্রকাশের সময় : সোমবার ২২ নভেম্বর ২০২১ ০৭:১৯:০০ অপরাহ্ন | গণমাধ্যম

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার ঘনিমশেষপুর গ্রামের এরশাদুল ইসলাম তার ৬মাসের নবজাতককে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন গাইনী ডাক্তার ও আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট’র প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে। সোমবার (২২ নভেম্বর) নবজাতকের পিতা ও মাতা এই অভিযোগ তুলেন।

জানা যায়, গত ১৭ নভেম্বর এরশাদুল দম্পতি চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের গাইনী ডাক্তার ফারহানা রহমান মিতুর কাছে আসলে সন্তান পেটে থাকা অবস্থায় তিনি রোগীকে দেখার পর আল্ট্রাসনোগ্রামের পরামর্শ দেন। পরামর্শ অনুযায়ী সেদিনই হাসান এক্স-রে ক্লিনিক এন্ড প্যাথলজিতে আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন। এবং ডাক্তার বলেন নবজাতেকর একটি হাত ও একটি পাঁ নেই।

রিপোর্টটি তাৎপর্যপূর্ণ না হওয়ায় পূনরায় দেশ এক্স-রে ক্লিনিক এন্ড প্যাথলজিতে ডা: সোনার মাধ্যমে আল্ট্রাসনোগ্রামের পরামর্শ দেন। পূনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট পাওয়ার পর ডা: ফারহানা বলেন সন্তানটি প্রতিবন্ধী তাই বাচ্চটি এ্যাবোশন করাই ভালো। পরামর্শ মোতাবেক ওই প্রসুতিকে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু আজ সকালে সেই সন্তান জন্মের পর দেখা যায় তার হাত-পাঁ সব কিছুই রয়েছে।

এরশাদুল ও তার স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ভুল তথ্য, চিকিৎসায় ও আমার ৬ মাসের পেটের সন্তানকে হারালাম। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট অনুযায়ী আমার সন্তানের হাত-পা নাই। কিন্তু জন্মের পর দেখলাম তার হাত-পাঁ সব কিছুই আছে। ডাক্তার আমার ভুল চিকিৎসা দিয়েছে।

 

আমরা আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট টা ভালো করে দেখতে বলায় ডাক্তার আমাদের সাথে দূরব্যবহার করেন। আমরা গরিব বলে যা তা ভাষায় কথা বলে। এতে আমরা অনেক বড় ক্ষতিগ্রস্থ হলাম।

আল্ট্রাসনোগ্রাম ডাক্তার সোহেল সরকার বলেন, রিপোর্টে ত্রুটি থাকায় ওই দম্পত্তিকে অ্যানোমালি স্ক্যান করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।

ডাক্তার মিরাজুল ইসলাম সোনা বলেন, রিপোর্ট এ বাচ্চার হাত-পাঁ গুলো ছোট দেখাচ্ছিল, তারা বললে তো হবে না স্বাভাবিক? রিপোর্টটা দেখতে হবে। তবে আমারও ভুল হতে পারে।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের গাইনী ডাক্তার ফারহানা রহমান মিতু বলেন, বাচ্চাটার এ্যালামনিয়া, জন্মগত সমস্যা আছে। রিপোর্টে বলেছে ওই বাচ্চার বয়স ৬মাস, সে অনুযায়ী তার হাত-পাঁ গুলো বৃদ্ধি হয়নি। ওই দম্পত্তির অনুমোতি নিয়ে সব কিছু করা হয়েছে।

আইনজীবী আবু তোরাব মানিক বলেন, সন্তান প্রতিবন্ধী হলেও হত্যার অনুমোতি আইনে দেয়নি। যদি এটা করে থাকে তাহলে সেটা অপরাধ।