ঢাকা, শনিবার ১৮ মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বৃষ্টিহীন বর্ষা, শ্রাবণেও চৈত্রের গরম কৃষি উৎপাদনে শঙ্কা

এম রাসেল আহমেদ, জয়পুরহাট : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৮ জুলাই ২০২৩ ১১:৫৪:০০ পূর্বাহ্ন | কৃষি ও প্রকৃতি

জয়পুরহাট জেলার কৃষকরা অধীর অপেক্ষায় ভেবেছিল

শ্রাবণ মাসের শুরুতেই হয়তো বা অঝোরে ঝড়বে প্রত্যাশিত বৃষ্টি। কিন্তু বৃষ্টি না

হওয়ায় রোপাকৃত আমন ফসলের উঁচু মাঠ ফেঁটে চৌচির,ফলে কৃষকের কৃষি

উৎপাদনের শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে । বৃষ্টির পানির অপেক্ষায় না থেকে কৃষকরা সেচযন্ত্র

দিয়ে আমন চাড়া লাগিয়েছিল। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আজ যেন

শুধু রূপ কথার গল্প, কেবল কৃষকদের আর্শীবাদ বাদলের ধারা ঝড়ে ঝড়, আউশের ক্ষেত জলে ভর

ভর।

আকাশের বৃষ্টির অভাবে এবং প্রচন্ড রোদে খাঁ খাঁ করছে জয়পুরহাট জেলার

বিস্তীর্ন মাঠ। এ দিকে যে আমন ধানের চারা রোপনের সময় উচু জমিতে পুকুর,

জলাশয়, খাল, বিল, নদী, নালা থেকে সেচযন্ত্র দিয়ে পানি উত্তোলন করে কোন রকমে

আমন ধানের চারা রোপন করা হয়েছিল পানির অভাবে সে মাঠ ফেটে চৌচির। ফলে

বর্তমানে এসব জমিতে প্রয়োজনীয় সার ও ওষুধ প্রয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

উচু মাঠের কোথাও পানির দেখাও মিলছে না। তাই বৃষ্টির অপেক্ষায় না থেকে পানির

অভাব মোকাবেলায় কিছু কৃষক অবশেষে সেচযন্ত্র চালু করে আমন ফসল রক্ষার চেষ্টা

করছে।

জানা যায়, চলতি মৌসুমে ক্ষেতলাল উপজেলায় ১০হাজার ৪শত হেক্টর জমিতে

আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা অতিক্রম করে ১০হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে

আমন রোপা সম্পন্ন হয়েছে। তবে আরও উচু ভিটা জমি রয়েছে। ওইসব জমিতে

পানির অভাবে আমন রোপন বিলম্বিত হচ্ছে । কাঁচাকুল গ্রামের মোঃ ফরহাদ

হোসেন বলেন, ১৫-২০ দিন আগে কিছু হালকা বৃষ্টির পানি দিয়ে প্রায় ৯ বিঘা

জমি রোপন করেছি। বর্তমানে বৃষ্টির পানি না হওয়ায় সেচযন্ত্র দিয়ে বাকি

জমিতে আমন চাড়া লাগানোর পরিকল্পনা করছি।

হোপ গ্রামের কৃষক হেলাল উদ্দিন বলেন, আকাশের বৃষ্টি না হওয়ায় শ্যালো

মেশিনের মাধ্যমে পানি কিনে আমন ফসল চাষ করতে হচ্ছে। এই অবস্থা অব্যাহত

থাকলে আমন ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে ফলনের বিপর্যয় দেখা দিবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুর রহমান বলেন, এবার ১০হাজার ৪০০ হেক্টর

জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলে তা অতিক্রম করেছে। তবে উচু জমি

বৃষ্টির পানির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে। ওইসব জমিতে বিভিন্নভাবে সেচ পাম্পের

মাধ্যমে দ্রুত আমন ধান রক্ষায় কৃষকদের সেচ কার্যক্রম চালানোর পরামর্শ দেওয়া

হয়েছে। আশাকরি বৃষ্টি হলে এসব সমস্যা কেটে কৃষকরা আমন চাষে ইতিবাচক

সাফল্য অর্জন করবে।