ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অর্থনীতিতে সংকট আছে, সমাধানও হচ্ছে: ডিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২১ জানুয়ারী ২০২৪ ১২:২৭:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

অর্থনীতে এখন যে সব সংকট আছে, সেগুলোর সমাধান সম্ভব এবং সমাধান হচ্ছে বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ। তিনি বলেন, এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভে অস্থিতিশীলতা, এলসি খোলার জন্য ডলারের অপর্যাপ্ততা, গ্যাস সংকটসহ কিছু সমস্যা আছে; এগুলো সবই সমাধান সম্ভব।

 

শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই মিলনায়তনে ২০২৪ সালে ডিসিসিআইর বর্ষব্যাপী কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

আশরাফ আহমেদ বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ আছে। তবে সেটা বড় নয়। আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বদলে দেওয়ার মতো কোনো মৌলিক  পরিবর্তনও হয়নি। আগামী এক দশকে আমরা বিশ্বের ২০টি বড় অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হতে যাচ্ছি। এখন আমাদের প্রবৃদ্ধি নেমেছে। কিন্তু আমাদের চেয়ে বেশি কমেছে চীনসহ অনেক দেশের। আমাদের অর্থনীতির মৌলিক ভিত্তিগুলো ঠিক আছে।

 

শুধু ইউরোপ আমেরিকার বাজারের ওপর নির্ভর না করে চীন, ভারত ও আফ্রিকার মতো জনবহুল দেশকে বাজার হিসেবে বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন ডিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, এসব দেশে ভোক্তা বেশি। সেজন্য প্রয়োজনীয় ইকোনোমিক ডিপ্লোমেসি করতে হবে।

 

আশরাফ আহমেদ আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি সবাইকে পীড়া দেয় সত্য। তবে এটা সারা বিশ্বে প্রভাব ফেলেছে। আমাদের মূল্যস্ফীতি ছয় শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু বাকি দুনিয়ার তুলনায় সেটা অনেক ভালো অবস্থা। মূল্যস্ফীতির সমস্যা আমাদের আগেও হয়েছে, আমরা সেটা ওভারকাম করেছি। আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো যে মূল্যস্ফীতির তথ্য দিচ্ছে, সেটা নির্দিষ্ট কিছু বিষয় বিবেচনায়। আসলে পরিস্থিতি এতটা খারাপ নয়।

 

প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সেজন্য বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনেক আইনের পরিবর্তন ও সংযোজন প্রয়োজন। অন্যদিকে বৈশ্বিক বাজার থেকে আমাদের যে পরিমাণ ব্যবসা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে, সেগুলো নিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। সে সহায়ক নীতি প্রয়োজন; বলেন ডিসিসিআই সভাপতি।

 

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে দারিদ্র্য কমেছে। কৃষিনির্ভর দেশ থেকে আমরা শিল্প ও সেবাখাত নির্ভর হয়েছি। এখন তৈরি পোশাক খাতের পাশাপাশি রপ্তানি বহুমুখীকরণ করতে হবে।