ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

গজনী অবকাশ কেন্দ্রের নতুন মাত্রা দিলো জিপ লাইনিং, ঝুলন্ত ব্রিজ ও ক্যাবল কার

তারিকুল ইসলাম, শেরপুর প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:৫৮:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়
নতুন নতুন স্থাপনা ও বিভিন্ন রাইড সংযোজনের মাধ্যমে গজনী অবকাশকে পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে ও ভ্রমণপিয়াসীদের নিকট আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরতে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর পাহাড়ি জনপদে গড়ে উঠা গজনী অবকাশ কেন্দ্রে জিপ লাইনিং, ঝুলন্ত ব্রিজ ও ক্যাবল কারসহ ৩টি নতুন স্থাপনা চালু করা হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর শনিবার জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ এই রাইড গুলো স্থানীয় সাংবাদিকদের ঘুরে ঘুরে দেখান এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন।
 
এসময় তিনি বলেন, শেরপুরের গজনী অবকাশ ভ্রমণপিয়াসীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। আমরা ‘র্পযটনের আনন্দে তুলসীমালার সুগন্ধে’ এই স্লোগানকে ধারণ করে জেলা ব্র্যান্ডিংয়ে গজনী অবকাশ শেরপুরকে অন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছি। দেশের নানা প্রান্তের লোক কাজের ফাঁকে কিংবা ছুটির অবসরে পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে আসেন এই গজনীতে। কেউবা একাকী, কেউবা বন্ধু-বান্ধবসহ ছুটে যান গজনী অবকাশে। গজনীর অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে জুড়ায় তাদের মন-প্রাণ। 
 
শেরপুর জেলা সদর থেকে আনুমানিক ২৮ কিলোমিটার দূরে ভারতের মেঘালয় সীমান্তে গারো পাহাড়ের পাদদেশে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গজনী শালবনের প্রায় ৯০ একর জায়গাজুড়ে ১৯৯৩ সালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গজনী অবকাশ কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়। শালবনের ভেতর উঁচু-নিচু পাহাড়ি টিলা, নদী-ঝর্ণার অর্পূব সমাহার। নান্দনিক ও আকর্ষণীয় নানা স্থাপনা নির্মাণের ফলে গজনী অবকাশ এখন জেলার বৃহৎ পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর এখানে হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমণে আসছেন। এতে এক পাহাড়ি টিলা থেকে আরেক পাহাড়ি টিলায় রোমাঞ্চকর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লাভ করবেন পর্যটকরা।
 
এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ, ঝিনাইগাতীর ইউএনও ফারুক আল মাসুদ, শেরপুর প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।