ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ হয়েছে সেই কবেই। যারা চাকরিজীবী ছিলেন তারা ঈদের পরদিনই কর্মস্থলের পথ ধরেছিলেন। তাদের পরিবাররাও এসেছেন ধীরে ধীরে।
এরইমধ্যে ঈদের আমেজ কেটে গেলেও ঢাকায় ফেরার পালা এখনও চলছে। সোমবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, এখনও অসংখ্য মানুষ ঢাকায় ফিরছেন। এদের কেউ কেউ ঈদের ছুটিতে যাওয়ার পর আজ ফিরেছেন। আবার কেউ আছেন যারা নিয়মিত যাতায়াতের অংশ হিসেবেও ঢাকায় ফিরছেন।
পঞ্চগড় থেকে আসা একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, ঈদের পর আজই প্রথম ঢাকায় ফিরছি। পড়াশোনা শেষে চাকরি খুঁজছি। তাই কর্মজীবীদের মতো ছুটি শেষেই ঢাকায় ফেরার কোনো তাড়া ছিল না। কয়েকটা দিন আব্বা-আম্মার সঙ্গে একটু বেশি কাটিয়ে এলাম।
কিশোরগঞ্জ থেকে আসা এগার সিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী রবিউল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটি শেষ হয়েছে গত সপ্তাহে। খুব জরুরি একটা প্রয়োজনে রোববার ছুটি নিয়েছিলাম। আজ ঢাকায় ফিরছি। ট্রেনে অনেক মানুষকেই ফিরতে দেখলাম।
সরিষাবাড়ি থেকে আসা যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। নতুন সেমিস্টারের ক্লাস কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে। গত সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা শেষে বাড়ি গিয়েছিলাম। ১৫ দিনের বেশি সময় বাড়িতে কাটালাম।
এদিকে মহাখালী বাস টার্মিনালে এসে দেখা গেছে সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে আছে। মাঝে মধ্যে দুই একটি করে বাস টার্মিনালের দিকে ঢুকছে। আবার কিছু বাস টার্মিনাল ছেড়ে যাচ্ছে। তবে বেলা ১১টার দিকে টার্মিনালে তেমন কোনো ভিড় দেখা যায়নি।
টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা বাস চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দূরপাল্লার বাসগুলো ভোরের দিকেই ঢাকায় ঢুকে গেছে। সর্বোচ্চ সকাল ৮টার মধ্যেই সব বাস ঢাকায় এসেছে। বাসগুলোতে প্রচুর যাত্রী ছিল।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটের একতা বাসের চালক জাকির হোসেন বলেন, আমি সকালের দিকে বাস নিয়ে মহাখালী এসে পৌঁছেছি। বাসের প্রতি সিট পরিপূর্ণ ছিল।
ধনবাড়ী-ঢাকা রুটে চলাচল করা বিনিময় পরিবহনের একটি বাসের চালক ময়নাল হোসেন বাবু বলেন, আজ অনেক যাত্রীই ঢাকায় আসছেন। ধানবাড়ীতে ১০ মিনিটেই বাস পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। পথে আর কোনো যাত্রী নিইনি। সোজা ঢাকায় চলে এসেছি। সেখানে আরও যাত্রী দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি।