বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ফাইনালে নাম লেখানোর পরই। তবে ফাইনালেই থেমে থাকলো না বাংলাদেশের মেয়েদের অগ্রযাত্রা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো নিগার সুলতানার দল।
আবুধাবিতে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
বোর্ডে খুব বড় পুঁজি ছিল না। আইরিশদের সামনে লক্ষ্য ছিল ১২১ রানের। তবে বাংলাদেশের মেয়েদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে প্রতিপক্ষ।
২৪ রানে ৩টি আর ৫৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে পড়ে আয়ারল্যান্ড। তবে শেষের দিকে নয় নম্বর ব্যাটার আরনেলে কেলির ২৪ বলে অপরাজিত ২৮ রানে ভর করে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় আইরিশরা। ৯ উইকেটে ১১৩ রানে থামে তাদের ইনিংস।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল রুমানা আহমেদ। ২৪ রানে তিনি নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন সানজিদা আক্তার, নাহিদা আক্তার আর সোহেলি আক্তার। সালমা খাতুন উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেন মাত্র ২১ রান।
এর আগে ফারজানা হক দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। ৫৫ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৬১ রান। তবুও বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের স্কোর ১২০ রানের বেশি হয়নি।
আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা।
ব্যাট করতে নেমে ৬ রান করে শুরুতে মুরশিদা আউট হয়ে গেলেও ফারজানা হক দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন। অন্যদিকে একপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়তেই থাকে।
নিগার সুলতানা ৬ রান করে, রুমানা আহমেদ ২১ রান করে, সোবহানা মোস্তারি ৬ রান করে, রিতু মনি ৯ রান করে, সালমা খাতুন ৪ রান করে আউট হয়ে যান। নাহিদা আক্তার অপরাজিত থাকেন ৩ রানে।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের হয়ে লরা ডেলানি ৩টি, কারা মুরাই ২টি, আরলেনে কেলি নেন ২ উইকেট। এইমের রিচার্ডসন নেন ১ উইকেট।