ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইউপিডিএফের সভাপতিসহ ২৭ নেতাকর্মীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

Author Minhaj Uddin | প্রকাশের সময় : বুধবার ১০ নভেম্বর ২০২১ ১১:০৩:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসাসহ তার দলের ২৭ নেতাকর্মীকে ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১০ নভেম্বর) রাঙামাটির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফারুক পত্রিকায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদেরকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

আত্মসমর্পণ না করলে তাদের অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে ২৬ এপ্রিল নানিয়ারচর থানায় কালুময় চাকমা হত্যার অভিযোগে ২৭ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।

আসামিরা হলেন- ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসা (৫৪), রঞ্জন মনি চাকমা জেনিট (৫২), সবিচ চাকমা সজল সুকর্ণ (৫৭), শান্তিদেব চাকমা সানি (৫০), সুমেট চাকমা (৪৫), উদয় শংকর চাকমা (৫২), প্রমোদ বিকাশ খীসা (৫৩), অমর জীবন চাকমা (৫৫), সর্বানন্দ চাকমা মকানন্দ (৪১), কানন কুসুম চাকমা (৪৭), রবিচন্দ্র চাকমা (৪৮), বিমল চাকমা উদয় (৫০), সুবিকাশ চাকমা (৩৭), সুজন মনি চাকমা (৩২), মধুরঞ্জন চাকমা (৪৮), অনিল চাকমা (৩০), সুপন চাকমা সুশীল জীবন (৫২), জ্যোতিলাল চাকমা (৫২), বিদ্যাময়ী ডিএম (৪০), অমর কান্তি চাকমা (৫০), কালামনি চাকমা (৩০), বৌধিসত্য চাকমা রিচার্জ (৪৪), বাবুল চাকমা (৩৫), তুষাণ চাকমা (৩০), সুশীল চাকমা (৩০), রহিম চাকমা (২৫) ও বিবিদ রতন চাকমা (২২)।

নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন হালদার বলেন, ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল কালুময় চাকমাকে নানিয়ারচরের তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে বাথছড়ি শ্মশান থেকে কালুময় চাকমার দাহ করা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কালুময় চাকমা হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ততার দায়ে এডিশন চাকমা বাদী হয়ে ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে তাদের গ্রেফতার করা যায়নি। আদালতেও তারা আত্মসমর্পণ না করায় পরবর্তীতে আদালত তাদের নিয়ম অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

আদালতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তফসিলভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে এবং ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৮৭ ও ৮৮ ধারার বিধানমতে আসামিদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিরা গ্রেফতার এবং বিচার এড়ানোর জন্য আত্মগোপন করেছে। যেহেতু তাদের আশু গ্রেফতার হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, সেহেতু ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ৩৩৯ বি (১) ধারা মতে  আসামিদের এ আদেশ পত্রিকায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। ব্যর্থতায় আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচার অনুষ্ঠিত হবে।