ভারতীয় মিডিয়ার সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভারতবর্ষের মিডিয়ার কয়েকজন ফোন দিয়েছেন, তাদের একটাই প্রশ্ন ইসকনের ব্যাপারে আপনারা কী করছেন? এই প্রশ্নটা একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, একটা অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়। প্রথমবার ফেল করেছে, এখন আবার নতুন করে সে অবস্থাটা সৃষ্টি করতে চায়। এই ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমরা যেন সেখানে বিভাজন তৈরি না করি।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত ‘রাষ্ট্র পুনর্গঠনে লেখক-শিল্পীদের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমন কতগুলো কাজ করছি, যে কাজগুলোর মধ্য দিয়ে কিন্তু ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে। আমাদের এখন ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়।
তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তুলে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক সংস্কার করে, একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করা নিঃসন্দেহে একটি জটিল কাজ, আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে। এই কাজটি আমাদের করতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের সবার উচিত, অনৈক্য সৃষ্টি না করে ঐক্যের মধ্যে থেকে আমরা যে সুযোগটা পেয়েছি, সেটি কাজে লাগিয়ে কিছুটা হলেও সামনে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ৫৩ বছর হয়ে গেছে, আমরা এখন পর্যন্ত পিসফুল ট্রান্সফার অব পাওয়ার করতে পারিনি। আমরা সবসময় যুদ্ধ করছি, লড়াই করছি, ভাই ভাইয়ের রক্ত ঝরাচ্ছি।
তরুণদের উদ্দেশে মহাসচিব বলেন, আপনারা অনেকে দায়িত্বে এসেছেন। এই দায়িত্বটাকে দায়িত্বশীলভাবে পালন করতে হবে। গোটা জাতিকে সামনে রেখে পালন করতে হবে। আমরা এমন কিছু করবো না, এমন কোনও হঠকারিতা করবো না, যে হঠকারিতার মধ্য দিয়ে আমরা আবার অন্ধকারের মধ্যে চলে যাবো।
জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক কবি মোহন রায়হানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনি, লেখক ও বুদ্ধিজীবী সলিমুল্লাহ খান, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজসহ আরও অনেকে।
বায়ান্ন/আরএইচ/একে