কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস অক্টোবর ২০২৩ পালিত হয়েছে।
সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ( শেড) আয়োজনে আলোচনা সভা ইন্টারেক্টিভ নিউট্রিশন পারফরম্যান্স, পথ নাটিকা ও বিভিন্ন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার বালুখালীতে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১১ সি আই সি অফিস কনফারেন্স রুমে স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা শেড এর উদ্যোগে গতকাল দুপুর ১২ টায় বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০২৩ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ক্যাম্প ১১, ১২ এবং ১৪ এর ক্যাম্প ইনচার্জ ও সিনিয়র সহকারী সচিব আল ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন শেড এর পুষ্টি কর্মসূচির ব্যাবস্থাপক মোঃ আমির হোসেন, পুষ্টি কর্মসূচির নিউট্রিশন এক্সপার্ট ফাহিমুজ্জামান। এবারে বিশ্ব ধোয়া দিবস ২০২৩ প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারন করা হয়েছে “পরিষ্কার হাত নাগালের মধ্যেই"। অনুষ্ঠানে প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন বক্তারা। তারা বলেন,COVID- 19 মহামারী যে শিক্ষা দিয়ে গেছে তার বাস্তবিক প্রয়োগ এবং এই হাত ধোয়া অভ্যাসকে আরো ত্বরান্বিত করে ভবিষ্যতে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি সংক্রামন থেকে প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে । ডায়রিয়া এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য সাবান দিয়ে হাত ধোয়া একটি অত্যন্ত কার্যকর এবং সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল উপায় । নিউমোনিয়া, এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর এক নম্বর কারণ, প্রতি বছর আনুমানিক ১.৮ মিলিয়ন শিশু মারা যায়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্প-১১ তে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা তারাও দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেন।
সভাপতি তার বক্তব্যে ক্যাম্প ইনচার্জ সিনিয়র সহকারী সচিব আল ইমরান বলেন, হাত ধোয়ার মাধমে আমরা অনেক সংক্রামন রোগ থেকে দূরে থাকতে পারি। বিভিন্ন গবেষণার তথ্যমতে সঠিক নিয়মে সঠিকভাবে হাত পরিষ্কার করলে ৩০% ডায়রিয়ার ঝুকি এবং ২০% সংক্রামন রোগের ঝুঁকি কমে যায়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শেড এর পুষ্টি কর্মসূচির নিউট্রিশন সুপারভাইজার নিউট্রিশনিস্ট মোঃ রাশেদ হাসান।
ওই দিন বেলা ২ টার সময় পুষ্টি সেবা কেন্দ্রে একটি ইন্টারেক্টিভ নিউট্রিশন পারফরম্যান্সের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে হাত ধোয়ার গুরুত্ব এবং তাৎপর্য উপর ভিত্তি করে একটি পথ নাটিকার আয়োজন করা হয়। এই নাটিকার মাধ্যমে রোহিঙ্গা কমিউনিটির মানুষকে সাথে নিয়ে তাদের অংশগ্রনের মাধ্যমে দিবসটির প্রতিবাদ্য বিষয়টি ফুটিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠান সমুহে সার্বিক সহযোগিতা করে ডকুমেন্টেশন অফিসার এ এস এম আলী ইমাম (সাফওয়ান মাহমুদ), কমিনিউকেশন অফিসার তানবির মেহেদি শোভন, নিউট্রিশন অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ নাঈম, নিউট্রিশন অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ হাফিজ উজ্জ্বল, মানব সম্পদ ও এডমিন অফিসার মোঃ মেহরাজ উদ্দিন, মিল অফিসার মোঃ হাসান মিয়া, কমিউনিটি নিউট্রিশন সুপারভাইজার মোঃ আল শাহরিয়ার রোকন, নিউট্রিশন সুপারভাইজার মোঃ ফোরকানী, নার্স দোলন চাপা, এবং জিএমপি প্রমোটর মোঃ সাইফুল ইসলাম, জিএমপি প্রমোটর মোঃ আমির হোসাইন জিএমপি প্রমোটর রোজিনা আক্তার সহ আরোও অন্যান্য ব্যক্তিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।