ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ভয়েস অফ আমেরিকার জরিপ

এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান দেশের ৬১.১% মানুষ, সংস্কার শেষে চান ৬৫.৯%

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:১০:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষের ভাবনা কী, তা উঠে এসেছে ভয়েস অফ আমেরিকার একটি সাম্প্রতিক জরিপে। এতে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মানুষ চান আগামী এক বছরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। তবে এ নিয়ে রয়েছে ভিন্নমত ও শর্তের কথা।

জরিপে অংশ নেওয়া ৬১ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ বলেছেন, আগামী এক বছরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত। তবে ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করার পরই নির্বাচন আয়োজন করা উচিত। অন্যদিকে, ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা শুধু নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট জরুরি সংস্কারগুলো শেষ করে ভোটের আয়োজন করার পক্ষে মত দিয়েছেন।

জরিপে উঠে এসেছে, ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ নির্বাচন চান দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে। আর ৮ দশমিক ৬ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, নির্বাচন ১৮ মাসের মধ্যে হওয়া উচিত। চার বছর বা তার বেশি সময় পর নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন মাত্র ৫ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ। এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলেছেন ৪ দশমিক ৬ শতাংশ উত্তরদাতা, আর ১ দশমিক ১ শতাংশ কোনো মতামত দিতে চাননি।

গত ৫ আগস্ট ছাত্রদের নেতৃত্বে হওয়া গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের পরিস্থিতি এবং জনগণের ভাবনা নিয়ে ১৩ থেকে ২৭ অক্টোবর ভয়েস অফ আমেরিকা দেশব্যাপী এই জরিপ পরিচালনা করে।

গবেষণা ও জরিপ প্রতিষ্ঠান ওআরজি-কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেডের মাধ্যমে ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলার নির্দেশনায় জরিপটি পরিচালিত হয়। দেশের আটটি বিভাগে বসবাসকারী ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী এক হাজার মানুষের মতামত নেওয়া হয় কম্পিউটার অ্যাসিস্টেড টেলিফোন ইন্টারভিউ (CATI) পদ্ধতিতে।

জরিপে দেখা গেছে, শহরের ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ এবং গ্রামের ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান। পুরুষদের মধ্যে এই হার ৫৭ দশমিক ৩ শতাংশ, আর নারীদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ।

ভয়েস অফ আমেরিকার জরিপে উঠে আসা তথ্য স্পষ্টতই বাংলাদেশের মানুষের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের দাবি যেমন রয়েছে, তেমনি সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের ওপরও জোর দিয়েছেন অনেকে।

বায়ান্ন/এএস/একে