ঢাকা, শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

উপযুক্ত সময়ে নির্বাচন দিলেই জাতির পক্ষে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব হবে: মির্জা ফখরুল

রিয়াদ হাসান | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর ২০২৪ ০১:৫১:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,অন্তবর্তীকালীন সরকার তিন মাসে অনেকগুলো কাজ করেছে। কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। আমরা বিশ্বাস করি, তাদেরকে যদি আমরা সকল সহযোগিতা করি, উপযুক্ত-যৌক্তিক সময়ে তারা নির্বাচন দিতে সক্ষম হবে। এর মধ্য দিয়ে এই জাতির সামনে যে চ্যালেঞ্জ আছে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব হবে।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭ নভেম্বরের পরে রাজনীতি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রাজনীতি, সেই রাজনীতি ছিল আধিপত্যবাদকে পরাজিত করে গণতন্ত্রের শত্রুদের পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালে সিপাহি-জনতার বিপ্লবের পর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের অবস্থা পরিবর্তন করলেন।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন করে বহদলীয় গণতন্ত্রে নিয়ে আসেন। তিনি রুদ্ধ বাজার অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে রূপান্তর করেন। ফলে বাংলাদেশে নতুন অর্থনীতির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতীয়তাবাদী দল ও জাতীয়তাবাদ দর্শন সৃষ্টি করেছেন। এই দর্শনে দীর্ঘকাল দলটি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই ও সংগ্রাম করছে। বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ সংগ্রামে দলটি তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে।

বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করেছে, নির্যাতন করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ প্রায় ৬০ লাখের অধিক মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। ৭ শত মানুষকে গুম করে, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো এই দেশে আধিপত্যবাদকে পরাজিত করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রধান নায়ক স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে জিয়ারত করে শ্রদ্ধা জানিয়েছি ও শপথ করেছি যে, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দিব। এর জন্য প্রয়োজনে আরও বেশি শক্তিশালী আন্দোলন করব।

শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ বিএনপির কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বায়ান্ন/আরএইচ/এসবি/একে