আগের দুই ম্যাচে উইকেট পাননি। জিম্বাবুয়েকে পেয়েই যেন জ্বলে উঠলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এক ওভারেই তুলে নিলেন দুই উইকেট। তাতেই বিশ্বকাপে দ্বিতীয় জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে বাংলাদেশের।
শুরুর ধাক্কাটা তাসকিন আহমেদ দিয়ে রেখেছিলেন। বিদায় করেছিলেন ওয়েসলি মাধেভেরে আর অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে। তবে জিম্বাবুয়ে দলে বাংলাদেশের অন্যতম বড় হুমকি সিকান্দার রাজা তখনো ক্রিজেই আসেননি। উইকেটে ছিলেন মিলটন শুম্বা আর শন উইলিয়ামস।
মুস্তাফিজকে আক্রমণে আনা হয়েছিল ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে আক্রমণে এসেই তিনি তুলে নেন শুম্বাকে। তার প্রথম বলটা ঠেকিয়েছিলেন শুম্বা। তবে দ্বিতীয় বলটায় তুলে মারতে চেয়েছিলেন মিড অফের ওপর দিয়ে, ব্যাটে বলে হলো না। ক্যাচ উঠে গেল, সাকিব আল হাসানের সেটা ধরতে কোনো বেগই পেতে হলো না।
এরপরই আসেন রাজা। তাকে প্রথম দুই বল অফ স্টাম্পের একটু বাইরে করেছিলেন মুস্তাফিজ, সে দুই বল ঠেকিয়েছিলেন রাজা। তবে ওভারের পঞ্চম বলটা লেন্থে তার গায়ের ওপর করেছিলেন মুস্তাফিজ। বলটা স্কয়ার লেগ দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার, তবে হলো টপ এজ। সেটা গিয়ে জমা পড়ল আফিফ হোসেনের হাতে। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে বড় এক ধাক্কাই খায় জিম্বাবুয়ে। ৩৬ রান তুলতেই খুইয়ে ফেলে ৪ উইকেট।