ভারতে হত্যার শিকার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ও কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলমকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। পোস্টে একটি অস্ত্রের ছবিও দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পর মেয়র আশরাফুল আলম কালীগঞ্জ থানায় নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে ডরিন লিখেছেন, ‘ইমোতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মেয়র আশরাফুল আলমকে হত্যার হুমকি দিয়েছে সেই সাথে আমাকেও।’
পাপ্পু নামে এক ব্যক্তির মোবাইল থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া মেসেজেটি আসে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কিরে আশরাফুল ভালো হলি না, আনারের মতো কি ডরিনের লাশটাও কিমা কিমা করতে চাস। তুইও ভালো হয়ে যা, আর ডরিনকেও ভালো হয়ে যেতে ক, না হইলে দুজনের লাশ কিমা কিমা কইরা ফালামু, কেউ বাদ যাবি না কিন্তু।’ এই মেসেজের সাথে একটি পিস্তলের ছবি পাঠানো হয়েছে।
ডরিন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে আরও লিখেছেন, ‘এমন বার্তা দিয়ে তী বোঝাতে চাচ্ছে তারা? আমার বাবার বিচার, জড়িতদের ফাঁসি চাই। কোনো আসামি যেনো বাংলার মাটি থেকে জামিন বা বের না হতে পারে সেইটি মমতাময়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিআকর্ষণ করতে চাই। সেই সাথে আইন ও বিচার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়সহ ডিবির হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যারা এ হত্যার হুমকি দিয়েছে অবিলম্বে তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি। কে বা কার অনুসারী এ হুমকি দিয়ে বিচার ও শাস্তি থেকে একপা পিছু হটবো না।’
এমপি কন্যা আরও উল্লেখ করেছেন, ‘জেলা ও উপজেলাসহ যেখানে গোটা বিশ্বের মানুষ তিন তিনবার নির্বাচিত এমপি হত্যার ঘটনা শুনেছে। আসামিরা জেলহাজতে রয়েছে। দুই দেশে তদন্ত চলছে, আমিসহ পরিবার ডিএনএ টেস্ট করতে কোলকাতায় যাবো, সেইখানে ইমোর মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আমাদের কী বোঝাতে চায় তারা? মোটেও ভয় বা ভীতি বা হারানোর কিছু নেই। সাহস থাকলে বাবার কাছে পাঠিয়ে দিন তবে দেশের সরকার ও দল এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঠিকই খুঁজে পাবে আপনি কার বা কোন নেতার অনুসারী।’
‘এ ঘটনার পর আমি মোবাইলে মেসেজ বা বার্তা দিয়েছি সকলকে। ডিবির প্রধান হারুন অর রশিদ সাহেবকেও জানিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইন ও বিচারমন্ত্রীসহ সকলের কাছে দ্রুত বাবার বিচার ও আমাদের যারা হুমকি দিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।”
কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, ‘গত ১৪ জুলাই রাত ১০টার দিকে পাপ্পু নামের এক ব্যক্তি এমপি আনারের মরদেহের ছবি আমার মোবাইলের ইমোতে পাঠায়। এরপর গতকাল (১৫ জুলাই) রাত ৯টা ৪৭ মিনিটে আমাকে ও ডরিনকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় জিডি করব।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু আজিফ বলেন, ‘এমপি কন্যা ডরিন ও মেয়র আশরাফুল আলমকে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জিডি হয়েছে। সন্ধ্যায় মেয়র থানায় এসে জিডি করেন। এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’