ঢাকা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গত বছরের চেয়ে এ বছর মোট পাসের হার কমেছে। তবে পাশের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।
এতে দেখা যায়, চলতি বছর দেশের নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলে মোট পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত বছর এসএসসি ও সমান পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। সে হিসাবে এবার মোট পাসের হার কমেছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ।
এদিকে পাশের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা। ২০২১ সালে জিপিএ-৫ ছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন। ২০২২ সালে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। জিপিএ-৫ বৃদ্ধি পেয়েছে ৮৬ হাজার ২৬২ জন।
বোর্ডভিত্তিক পাশের হারে দেখা গেছে- ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ৯০.০৩ শতাংশ, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৯.০২ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৫.৮৮ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ড ৯১.২৮ শতাংশ, যশোর ৯৫.১৭ শতাংশ, চট্টগ্রাম ৮৭.৫৩ শতাংশ, বরিশাল ৮৯.৬১ শতাংশ, সিলেট ৭৮.৮২ শতাংশ, ও দিনাজপুর ৮১.১৬ শতাংশ। এছাড়া মাদরাসা বোর্ডে ৮২.২২, ও কারিগরি বোর্ডে ৮৯.৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
এ বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখের বেশি। তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ১৬ লাখ।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়।