ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শাবিপ্রবিতে কিন স্কুলের বর্ষপূর্তি উদযাপন

শাবি প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : সোমবার ৪ এপ্রিল ২০২২ ০৩:৩৬:০০ পূর্বাহ্ন | শিক্ষা


শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিন স্কুলের ১৮তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। রোববার (৩ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংগঠনটির সেক্রেটারি অফ ওয়েব মো. সালমান আসাদ্দু।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত পহেলা এপ্রিল কিন স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে কিন স্কুলের ১৫০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাসামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ করা হয়। এরপর কিন স্কুলের শিক্ষার্থীদের ও অতিথিদের নিয়ে কেক কেটে দিনটি উদযাপন করা হয়।

পরে কিন স্কুলের শিক্ষার্থীদের বক্তব্য প্রদান, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং 'কিন স্কুল' শিরোনামে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানের পরবর্তী সময়ে কিন স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দলীয় নৃত্য , দ্বৈত নৃত্য, ফ্যাশন শো, কবিতা আবৃত্তি , সংগীত ও ম্যাশাপ গান পরিবেশিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি কিনের সামাজিক সচেতনতা ও প্রচার সম্পাদক ইসরাত জাহান রিফা, কিন স্কুলের শিক্ষার্থী শিমা এবং আয়েশার  উপস্থাপনায় পরিচালিত হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক হিমাদ্রি শেখর রায় এবং বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ফারজানা সিদ্দীকা। অন্যান্যদের মধ্যে কিনের সভাপতি ইফরাতুল হাসান রাহিম, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি রেজওয়ান রিজভী ও নেপোলিয়ন তালুকদার , যুগ্ম সম্পাদক এরোভিন আল নাইম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবা মোস্তফা সুরভি, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আদিবা মালিহা সহ কিনের সদস্য এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, "চেনা হোক প্রতি মুখ শিক্ষার আয়নায়" এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে ২০০৪ সালের ২৬শে মার্চ শাবিপ্রবিতে যাত্রা শুরু করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিন। পরে কিনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় কিন স্কুল। কিনের পাঁচটি উইংসের মধ্যে কিন স্কুল হল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উইং। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র পরিবারের শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে এবং বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য তাদের প্রস্তুত করাই KIN স্কুলের প্রধান লক্ষ্য।

সুবিধাবঞ্চিত দুস্থ দরিদ্র পরিবারের যেসব শিক্ষার্থী আর্থিক কারণে পড়তে পারে না,তাদেরকে নিয়মিত পাঠদান দেয়া হয় কিন স্কুলে। কিন স্কুলে প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক পাঠদান করা হয়। কিন স্কুলে শিশু শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি KIN স্কুলের বাচ্চাদের মানসিক,শারীরিক ও নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশের জন্য খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও বিভিন্ন আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। তাছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী শিক্ষার অংশ হিসেবে সেলাই মেশিনের কাজ ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

দরিদ্রতার কারণে কোন শিশু যেন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে কিন স্কুল সদা তৎপর।