রাঙ্গুনিয়া পূর্ব সরফভাটা কর্ণফুলী নদীতে জেগে উঠা বালু চরে দুইটি অতিথি পাখি একটি স্বয়ং ক্রিয় এক নালা বন্দুক দিয়ে হত্যা করে। অতিথি পাখি দুইটি জলচর ও হাঁস প্রজাতির। ইংল্যান্ডের আদিবাস বিলুপ্তপ্রায় ভাদি হাঁসের বলে ধারনা করা হচ্ছে।হাঁস দুইটির ওজন প্রায় সাত কেজি। গতকাল শনিবার পূর্ব সরফভাটা ছালে আহমদ মার্কেটের সামনে কর্ণফুলী নদীতে ডুবো চরে সকাল দশটায় প্রায় অর্ধ শতাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে একটি আধুনিক একনালা স্বযংক্রিয় বন্দুক দিয়ে পরিযায়ী পাখি migratory Bird শিকার করে।
শিকারের সময় প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক এলাকাবাসী জানান,সাবেক সার্জেন্ট আলমগীর চৌধুরি (আর্মি আলমগীর) নামে সর্বাধিক পরিচিত তাঁর নেতৃত্বে আরো ছবিতে দৃশ্যমান দুই সহযোগি এই পরিযায়ী পাখি বিরল প্রজাতির হাঁস হত্যা করে। আর্মি আলমগীরের পিতা মরহুম ছমিউদ্দিন চৌধুরি সাবেক বন বিভাগের পেশায় ফরেষ্টর ছিলেন।সেই পূর্ব সরফভাটা এলাকার বাসিন্দা। পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্রণালয় সম্প্রতি সময়ে দেশে এয়ারগান বহন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন। পাখি ও বন্যপ্রাণী শিকার একটি ফৌজদারি অপরাধ।
প্রত্যক্ষদর্শী পূর্ব সরফভাটা স"মিলের ব্যবসায়ী আবুল কাশেম জানান--বিরল প্রজাতির হাঁস দুটি শিকার দেখে আমার মনে খুব কষ্ট পেয়েছি।তিনি বলেন,হাঁস দুটি বিদেশি হাঁস বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন এই সব সচেতন শিক্ষিত মানুষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া দরকার।
স্থানীয়রা বলেন--অতিথি পাখি শিকার করা এটি অত্যন্ত দণ্ডনীয় অপরাধ ,এই বন্দুক দিয়ে প্রতিদিন সরফভাটার সরকারি বনভূমি জলাশয়ে নির্বিচারে পাখি শিকার করা হচ্ছে। অবিলম্বে এই ফৌজদারি অপরাধের বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানাকে আইনগত ব্যবস্হা নিতে সরফভাটার সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ জোর দাবি জানিয়েছেন। সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ চৌধুরী মুঠোফোনে এই ফৌজদারি অপরাধের বক্তব্য নিতে চাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
রাঙ্গুনিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার ইউনুস--এ বিষয়টা আমি জানতাম না, তিনি বন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানোর জন্য বলেন।
এ বিষয়ে বন কর্মকর্তা মাসুম কবির বলেন--অতিথি পাখি শিকার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।