ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কাউন্সেলিং সেন্টার নিয়ে জবি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

আবু হানিফ, জবি প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:৫৯:০০ অপরাহ্ন | শিক্ষা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বিবেচনা করে আগামী ৩ জানুয়ারি শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে "জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সেলিং সেন্টার" অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এবং কাউন্সেলিং কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ। আগামী  ৩ জানুয়ারি, দুপুর ১২ টায় র‍্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। 
 
এ বিষয়ে জবি শিক্ষার্থীদের কিছু মতামত তুলে ধরা হলোঃ
 
বাংলাদেশের প্রথম গ্রাফোলজিস্টের বক্তব্য হলো " গত  ২ বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাউন্সেলিং প্রাক্টিস করার সময় দেখেছি  জবি এর অনেক ছাত্রছাত্রীকে  কাউন্সেলিং সেবা নিতে চেয়েছিলেন কিন্তু ফি অনেক বেশি হওয়ায় সেই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সেবা নিতে পারে নাই। আমাদের ক্যাম্পাস এ যখন ফ্রী তে কাউন্সেলিং সেবা পাবে তখন ছাত্রদের নিজেদের শারিরীক স্বাস্থ্য সাথে  মানসিক স্বাস্থ্য প্রতি গুরুত্ব দিতে পারবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস , যদি আমাদের ভাই বোনেরা নিয়মিত কাউন্সেলিং সেবা নেন, তাহলে কাউকে আর হারাবো না আত্মহত্যার কারণে।
 
মোঃ মিরাজ হোসেন 
১১তম ব্যাচ মনোবিজ্ঞান বিভাগ
 
ব্যক্তিগতভাবে, আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো বিষয়টা দেখে যে,আমাদের বিশ্বিবদ্যালয়েতে কাউন্সেলিং সেন্টার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী তিন তারিখে। আসলে এই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ অনেক সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে(যেমনঃ পারিবারিক, ব্যক্তিগত,বর্তমান এবং ভবিষ্যতের ধারাবাহিক কর্মজীবন নিয়ে), বিষণ্নতা এবং নৈরাশা মানুষকে আত্মহত্যার মত মহাপাপকেও  বেচে নিতে বাধ্য করে। কিন্তু তা বলা বা শোনার মত তেমন ভালো কোন উৎস নাই যে এইগুলো শোনে একটা ভালো উপদেশ বা সমাধান দিবে।আমরা সুন্দর করে বাঁচতে চাই,নিজের মন মত করে সাজাতে চাই নিজের জীবন, নিজের মনের দুঃখ কষ্ট সব দূরে করে দিয়ে রাঙিয়ে তুলতে চাই জীবনকে ,তার জন্য আমি মনে করি যে,কাউন্সেলিং সেন্টার খুবই দরকার যেখানে আমরা ভয় ছাড়া সব শেয়ার করতে পারি। ধন্যবাদ, বিশ্ববিদ্যালয় এই উদ্যোগটা নেওয়ার জন্য । 
 
মোঃ সাইফুল ইসলাম 
১৩ তম ব্যাচ, 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
 
তরুন তরুণীরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগার ফলে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এ বয়সে তাদের ক্যারিয়ার, পরিবার, সার্কেল, ব্যাক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ে খুবই হতাশাগ্রস্ত থাকে। তারা তাদের সমস্যাগুলো বলার মত কাউকে খুঁজে পায়না। তখন তারা খুবই একাকী অনুভব করে। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে কাউন্সেলিং সেন্টারের ব্যবস্থা করার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ। আশা করি সকলে সংকোচ বোধ না করে সেবাটি গ্রহণ করবেন।
 
রিসাত রহমান 
১৩তম ব্যাচ
আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
 
একাডেমিক খারাপ রেজাল্ট, অর্থনৈতিক চাপ, পারিবারিক কনফ্লিক্ট এবং প্রেম ঘটিত আবেগীয় বিভিন্ন সমস্যার কারনে অনেক শিক্ষার্থীরা ডিপ্রেশনে ভুগে। ফলে অনেক শিক্ষার্থী আত্নহত্যার পথ বেছে নেয়। গত ৫মাসে জবির ৬ শিক্ষার্থী আত্নহত্যা করে।
বর্তমানে মানসিক স্বাস্থ সেবা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা এবং ব্যায়বহুল চিকিৎসা পদ্ধতির কারনে শিক্ষার্থীরা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে কম সচেতন। 
 
এই কাউন্সিলিং সেন্টারের মাধ্যমে আমরা সকল শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করতে পারবো এবং আত্নহত্যার হার কমাতে পারবো।
আমি মনে করি, মনোবিজ্ঞান বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমন্বয়ে এটি একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
 
মোঃ মেহেদী হাসান 
১২ তম ব্যাচ মনোবিজ্ঞান বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
 
পৃথিবীতে  নতুন যত প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে  সেগুলোর ব্যহারকারীদের  বড় একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। ফলে এর ভালো এবং খারাপ উভয়ের প্রভাব পড়ছে তাঁদের উপর। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেই ব্যবহার করে ঘটছে অসামাজিক কার্যকলাপ। যার ফলে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাউন্সিলিং সেন্টার স্হাপন করায় আন্তরিক ধন্যবাদ। যাদের মাধ্যমে কাজটি করা সম্ভব হয়েছে তাদের মধ্যে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই ভিসি স্যার এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নুর মোহাম্মদ স্যারকে।
মোঃ এইচ,এম, তৌফিকুর রহমান তপু
১৩ তম ব্যাচ
মনোবিজ্ঞান বিভাগ 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।