কুতুবদিয়ার পূর্ব চরধুরুং সৈকতে উপকূলীয় বন বিভাগের প্রায় ২৫ একর জমির কয়েক হাজার ঝাউগাছ ধ্বংস করে লবণ চাষ করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। গাছগুলো ৪ থেকে ৬ ফুট উঁচু হয়েছিল বলে জানা যায়। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আকবর বলী এলাকার চিহ্নিত ভূমি ও জলদস্যুদের নেতৃত্বে পূর্ব চর ধূরুং সৈকতে ঝাউবাগান ধ্বংস করে লবণ চাষ করছে তারা। এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি বেড়ীবাঁধ ও জনবসতি হুমকির মুখে রয়েছে। এসব কাজের সাথে জড়িতরা হলেন, সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক ও তার ভাই মুজিব, সাবের আহমেদ, ইমাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী শাহাজাহান ও তার ভাই ইউনুস, সাইফুল্লাহ, আনিচ এবং শিক্ষক করিম।
আকবর বলী জেটিঘাট এলাকার আব্দুর রাজ্জাক জানান, এখানকার ঝাউবাগানের রক্ষণাবেক্ষণের অস্থায়ী দায়িত্বে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে কুতুবদিয়া উপজেলা বন কর্মকর্তা কিভাবে ঝাউবাগান ধ্বংস করে লবণের মাঠ করার অনুমতি দিয়েছে তার জানা নেই। আর যারা ঝাউগাছ কেটেছে, তারা ভুমি- জলদস্যু হওয়ায় এলাকার মানুষ বাধা দিতে পারেনি বলে জানান তিনি।
উপকূলীয় বন বিভাগের কুতুবদিয়া উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শামীম রেজা বলেন, উত্তর ধূরুং এ পূর্ব চর ধূরুং বন বিভাগের জমি নেই। যে জমিতে লবণের মাঠ করেছে সেই জমি জেলা প্রশাসকের বলে দাবী তিনি। ঝাউবাগান ধ্বংস করে যারা লবণের মাঠ করেছে তাদের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভালো জানবেন। তবে, গাছ কাটার বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। দ্রুত জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা না থাকায় তার দায়িত্বে উপজেলা ভূমি কমিশনার জর্জ মিত্র চাকমা বলেন, কিছুদিন আগে অভিযান চালিয়ে মালামাল সামগ্রী জব্দ করা হয়। কিন্তু তারা আবারও যদি লবণ মাঠে কাজ করলে সেটা দুঃখজনক বলে জানান।