জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীতে নতুন পৃথক চার থানার মামলায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, জাসদের সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ সাবেক তিন হেবিওয়েট কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান পুলিশের আবেদনের শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো অপর আসামিরা হলেন- পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর আলম এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান। এদিন সকালে তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর মধ্যে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় আমির হোসেন হত্যা মামলায় হাসানুল হক ইনু ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে এবং তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজার এলাকায় রমিজ উদ্দিন রুপ হত্যা মামলায় আমির হোসেন আমু, জাহাঙ্গীর আলম ও জিয়াউল আহসান গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানাধীন এলাকায় আল শাহরিয়ার হোসেন হত্যা মামলায় হাসানুল হক ইনুকে, মিরপুরে শিশু মিজানুর রহমান হত্যা মামলা ও আজাদ হোসেন হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৬ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে ১৪ দলে মুখপাত্র আমির হোসেন আমুকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আর ২৫ আগস্ট বিকেলে উত্তরার একটি বাসা থেকে ইনুকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের একটি টিম। গত ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে জাহাংগীর আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বায়ান্ন/এমএমএল/একে