দেড় বছর বয়সের সন্তানকে কালো কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে রশি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রেখে নির্যাতন করছে তার গর্ভধারিণী মা সরুফা বেগম। নির্মম ঘটনাটি ঘটছে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার নাসিরনগর উপজেলা কুন্ডা গ্রামের (ইব্রাহিমপুরে)।
কুন্ডা গ্রামের আলী হোসেন মেয়ে সরুফা আক্তার সাথে নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলা বজরা গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে তুষারের সাথে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ফাতেমা আক্তার নামে ১৮ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
দীর্ঘ আড়াই বছর সংসার করার পর তাদের মধ্যে বিভিন্ন মনমালিন্য সৃষ্টি হয়। মনমালিন্যের কারণে স্ত্রী সরুফা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে। কিছু দিন ধরে স্বামী কে টাকা পাঠানোর জন্য স্ত্রী বিভিন্ন হুমকি দামকির দিয়ে আসছে। স্ত্রী সরুফা আক্তার তার স্বামীর কাছে ২ লক্ষ টাকা চাই বলে স্বামী তোষার মিয়া অভিযোগ করেন। স্বামী এই টাকা দিতে অনীহার প্রকাশ করলে শিশু সন্তান কে প্রাণে হত্যা করিয়া লাশ গুম করে স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে জেল কাটানোর হুমকি প্রদান করেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বিকাল ৩ টায় সরুফা আক্তার তার ব্যবহৃত ইমু নাম্বার হতে তার স্বামীকে একটি ভিডিও পাঠায়, ভিডিওটি ইতিমধ্যে ঐ এলাকায় ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যায় সরুফা আক্তারের বাপের বাড়ি (কুন্ডা) রাস্তার উপর তার শিশু সন্তান কে কালো কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে রশি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রেখে নির্যাতন করছে।
ভিডিও অভিযোগে বিষয় সরুফা আক্তারের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।
এই বিষয়ে স্বামী তোষার মিয়া ২৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) নাসিরনগর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে। বিষয় নিশ্চিত করেছে নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের।